সচরাচর মাঠে নেমে চুপচাপ নিজের পারফর্ম্যান্স মেলে ধরতেই পছন্দ করেন। মাঠে খুব একটা হম্বিতম্বি করতে দেখা যায় না বাবর আজমকে। তবে এহেন শান্ত মেজাজের বাবর আজমের রুদ্রমূর্তি দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। কেপ টাউনে প্রাক্তন পাক দলনায়ক ক্ষেপে গেলেন প্রোটিয়া পেসার উইয়ান মাল্ডারের উপর।
আম্পায়ার শান্ত করার চেষ্টা করেন বাবরকে। তাতেও রাগ কমেনি পাক তারকার। তাঁকে এডেন মার্করাম ও প্রোটিয়া উইকেটকিপার কাইল ভেরেইনের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় রাগের বিষয় নিয়ে।
আসলে মাল্ডার স্বভাবসুলভ আগ্রাসনে এমন একটি কাজ করে বসেন, যা মোটেও পছন্দ হয়নি বাবরের। সচরাচর বোলারদের ফলো থ্রুয়ে বল ধরে ব্যাটারের দিকে স্টাম্পে ছুঁড়ে মারতে দেখা যায়। কেননা অনেক সময়ই ব্যাটাররা শট খেলার পরে ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এক্ষেত্রে বাবর ডিফেন্সিভ শট খেলার পরে স্টাম্প ছেড়ে মাল্ডারকে জায়গা করে দিয়েছিলেন বল ছোঁড়ার, যাতে বল তাঁর গায়ে না লাগে। বাবর অফ-স্টাম্পের বাইরে সরে গেলেও মাল্ডারের ছোঁড়া বল গিয়ে আঘাত করে বাবরের জুতোয়। আর একটু হলে বড়সড় চোট পেতে পারতেন পাক তারকা। মাল্ডার অবশ্য বাবরের গায়ে বল ছুঁড়ে মারার পরেও ক্ষমা চাওয়ার রাস্তায় হাঁটেননি। বরং তার পরেও হম্বিতম্বি করতে দেখা যায় প্রোটিয়া পেসারকে।
মাল্ডারের মেজাজ দেখে রেগে যান বাবর। তিনি এগিয়ে যান প্রোটিয়া পেসারের দিকে। পরে আম্পায়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যস্থতায় বাবরের রাগ কামানো সম্ভব হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান কেপ টাউন টেস্টের গতিপ্রকৃতি
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কেপ টাউন টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা প্রথম ইনিংসে ৬১৫ রান তোলে। ২৫৯ রান করেন রায়ান রিকেলটন। ১০৬ রান করেন ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমা। ১০০ রান করেন উইকেটকিপার কাইল ভেরেইন। মারকো জানসেন ৬২ ও কেশব মহারাজ ৪০ রানের যোগদান রাখেন। মহম্মদ আব্বাস ও আঘা সলমন ৩টি করে উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯৪ রানে অল-আউট হয়। বাবর আজম ৫৮ ও মহম্মদ রিজওয়ান ৪৬ রান করেন। কাগিসো রাবাদা ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও কেশব মহারাজ।
ফলো-অন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ২১৩ রান তোলে। ১০২ রান করে নট-আউট থাকেন শান মাসুদ। ৮১ রান করে আউট হন বাবর আজম।