ক্রিকেটের ১৭ বছরের ইতিহাসে শুক্রবার ডাবলিনে প্রথম বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাঁচ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। যা আইরিশদের কাছে বড় কৃতিত্ব। ২০০৭ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে সকলকে চমকে দিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তার পর এটি পাক ব্রিগেডের বিরুদ্ধে তাদের দ্বিতীয় জয়। তবে হারের মাঝেও পাক দলের অধিনায়ক বাবর আজমের কাছে সান্ত্বনা পুরস্কার ছিল বিরাট কোহলির নজির স্পর্শ করা।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন বাবর আজমই। ৪৩ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। তাঁর সৌজন্যে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮২-তে পৌঁছয়। তবে আয়ারল্যান্ড জবাবে রান তাড়া করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: ১০ ওভারের মধ্যে ১৬০-এর উপর রান তাড়া করে জয়, ইতিহাস লিখে লখনউকে হারাল হায়দরাবাদ, আশা শেষ MI-এর
কোহলির কোন রেকর্ড স্পর্শ করবে বাবর?
বিরাট এবং বাবর দু'জনেই টি-টোয়েন্টিতে এই মুহূর্তে৩৮টি করে পঞ্চাশের বেশি স্কোর করে ফেলেছে। বিরাট যেখানে একটি সেঞ্চুরি এবং ৩৭টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন, সেখানে বাবরের করেছেন ৩টি শতরান এবং ৩৫টি অর্ধশতরান। মজার বিষয় হল, বিরাট এবং বাবরের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোরও সমান। দু'জনেরই এই ফর্ম্যাটে সর্বোচ্চ স্কোর ১২২। কোহলি এবং বাবরের পর রোহিত শর্মা (৩৪), মহম্মদ রিজওয়ান (২৭) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (২৭) টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর করেছেন।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য ব্যাটিং, কিছু বলার নেই- ম্যাচের পরেও ঘোর কাটেনি, রাহুলের সাফ দাবি, ২৪০ করলেও হারত তাঁর দল
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোরে এগিয়ে বিরাটই
বিরাট কোহলির টি-টোয়েন্টিতে মোট স্কোর ৪,০৩৭ রান। এটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে কোনও ব্যাটারের করা সর্বোচ্চ মোট স্কোর। বাবর অবশ্য এই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে। তিনি এখনও ৪,০০০ গণ্ডি টপকাতে পারেননি। তার মোট সংগ্রহ ৩,৮৮০ রান।
কোহলি-বাবরের তুলনা চলছেই
বিরাট কোহলি এবং বাবর আজমের মধ্যে তুলনা বহু দিন ধরেই চলছে। সারাক্ষণই দুই তারকাকে নিয়ে তুল্যমূল্য কাটাছেঁড়া চলছে। কোহলি খেলার সব ফরম্যাটে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য পরিচিত। টেস্ট এবং সীমিত ওভারের উভয় ক্রিকেটেই তাঁর অসাধারণ রেকর্ড রয়েছে, তাঁর নামে অসংখ্য সেঞ্চুরি রয়েছে। কোহলির লক্ষ্য তাড়া করার ক্ষমতা এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাঁর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে একজন আদর্শ শক্তিশালী ব্যাটসম্যান করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: কোহলির এটা বলা উচিত হয়নি- বিরাট-গাভাসকর তরজায় নাক গলালেন ওয়াসিম আক্রম
অন্যদিকে, বাবর তাঁর মার্জিত স্ট্রোক প্লে এবং কঠিন কৌশলের জন্য পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স বিশেষ ভাবে চিত্তাকর্ষক। তিনি পাকিস্তানের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভালো পারফর্ম করে চলেছেন। বাবর আজমের পেস এবং স্পিন বোলিং উভয়ই স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে খেলার ক্ষমতা রয়েছে, যা তাঁকে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে।
পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে, বাবর আজমের তুলনায় কোহলির গড় এবং সেঞ্চুরির সংখ্যা অনেক বেশি। যাইহোক উভয় খেলোয়াড়েরই নিজস্ব স্বতন্ত্র স্টাইল রয়েছে এবং তাঁরা নিজ নিজ দলের সাফল্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। কোহলি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সমস্ত ফর্ম্যাটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, বাবর আজম অপার সম্ভাবনা দেখিয়েছেন এবং তার ব্যাটিং দক্ষতার সঙ্গে মুগ্ধ করে চলেছেন।