ক্রিকেটের ইতিহাসে অবিশ্বাস্য সব ঘূর্ণি ডেলিভারি দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে শেন ওয়ার্ন ও মুথাইয়া মুরলিধরনের জমানায় ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো স্পিন আতঙ্কে ভুগতেন। বর্তমান সময়ে ক্রিকেট ম্যাচে স্পিনারদের দাপট দেখা যায় না, এমনটা নয়। বরং এখনও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় স্পিনারদের।
সময়ে সময়ে দুরন্ত সব ঘূর্ণি ডেলিভারি চোখে পড়ে এখনও। তবে সম্প্রতি কেসিসি টি-২০ চ্যালেঞ্জ কাপে অখ্যাত এক স্পিনার এমন একটি ঘূর্ণি ডেলিভারি উপহার দেন, যা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে শেন ওয়ার্নের শতাব্দীর সেরা ডেরিভারিকেও। এমন অফ-স্পিন ডেলিভারি দেখে লজ্জা পেতে পারেন কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলিধরনও।
গত ২৬ জানুয়ারি কুয়েতের সুলাইবিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডে কেসিসি টি-২০ চ্যালেঞ্জ কাপের ১৫তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে কুয়েত ন্যাশনালস ও এসবিএস সিসি। সেই ম্যাচেই এসবিএস-এর বিয়ান্ত সিংকে অবিশ্বাস্য ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কুয়েত ন্যাশনালসের মহম্মদ ওয়াকার অঞ্জুম।
দ্বিতীয় ইনিংসের ১১.২ ওভারে ওয়াকারের ফ্লাইটেড ডেলিভারির নাগাল পেতে অফ-স্টাম্পের বাইরে শাফল করেন বিয়ান্ত। বল অফ-স্টাম্পের এতটা বাইরে ড্রপ করে যে, সোজা গেলে নিশ্চিত ওয়াইড হতো। বলের লাইন অনুমান করে বিয়ন্ত অফ-স্টাম্পের বাইরে সরে যান। তবে বল পিচে ড্রপ করার পরেই বিস্তর বাঁক নিয়ে সোজা স্টাম্পে গিয়ে লাগে। ব্যাটসম্যান এতটাই দূরে ছিলেন যে, বলের নাগাল পাওয়া সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে। ব্যাটার বিয়ান্ত কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন বলের স্টাম্প ভেঙে দেওয়া।
ম্য়াচে ১৪ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে জয় তুলে নেয় কুয়েত ন্যাশনালস। তারা শুরুতে ব্য়াট করে ১৭ ওভারে কমে দাঁড়ানো ইনিংসে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৪ রান তোলে। ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত শতরান করেন আহমেদ খালিদ হাফিজ। তিনি ১১টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ বলে ১২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে এসবিএস সিসি নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭০ রানে আটকে যায়। শতরান হাতছাড়া করেন ক্যাপ্টেন নির্মল সিং। তিনি ৪টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ বলে ৯৪ রান করে আউট হন। বিয়ান্ত সিং ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ওয়াকার অঞ্জুম ৩ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন আহমেদ খালিদ হাফিজ।