নেপালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরে বল হাতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। একদিকে ইনিংসের ৩ বল থাকতেই যখন বাংলাদেশ দল মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায়, অন্যদিকে তখন মাত্র ২৬ রানেই নেপালের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৮৫ রানেই নেপালকে অলআউট করে বাংলাদেশ।
আসলে এদিন বল হাতে জ্বলে ওঠেন তানজিম হাসান সাকিব। তিনি পরপর তিন ওভারে তুলে নিয়েছেন নেপালের ৪ উইকেট। নিজের কোটার চার ওভার বল করে ২টি মেডেন নেওয়ার পাশাপাশি মাত্র সাত রান দিয়ে তিনি চার উইকেট শিকার করেছিলেন। তানজিম হাসান সাকিবের এই পারফরমেন্সের দৌলতেই এমন লো স্কোরিং ম্যাচে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২১ রানে ম্য়াচ জেতে তারা। এদিনের জয়ের ফলে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে এখনও দুই নম্বর দল হিসাবে সুপার এইটে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ।
এদিনের ম্যাচে তানজিম হাসান সাকিব ছাড়াও বল হাতে নেপালকে ধাক্কা দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এদিনের ম্যাচে তিনি চার ওভারে বল করে সাত রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন। নেপাল একটা সময়ে ৭ ওভারে ২৬ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায়। এরপরে কুশল মাল্লা ও দিপেন্দ্র সিং নেপালের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কুশল ৪০ বলে ২৭ রান করে আউট হন। দিপেন্দ্র সিং নেপালের আশা বাঁচিয়ে রাখলেও সফল হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানের মধ্যেই নেপাল অলআউট হয়ে যায়।
তবে ব্যাট করতে নেমে টি-টোয়েন্টিতে সহযোগী দেশের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন স্কোর করেছিল বাংলাদেশ। আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর ৩৭তম ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে মাত্র ১০৬ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে লজ্জার নজির গড়ে ফেলল শাকিব আল হাসানরা। এদিকে সুপার এইট এখনও নিশ্চিত হয়নি বাংলাদেশের। নেপালের বিরুদ্ধে তাই জয়টা খুবই দরকার ছিল। এমন ম্যাচে শুরু থেকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশে। মাত্র ৩ বল থাকতেই অর্থাৎ ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে শাকিব আল হাসানরা।
এর পরে ব্যাট করতে নেমে নেপালের ওপেনার কুশল ভুর্টেল ৪ ও আসিফ শেখ ১৭ রান করে আউট হন। অনিল শাহ শূন্য ও রোহিত পাওদেল ১ রান যোগ করেন। তবে এরপরে কুশল মাল্লা ও দিপেন্দ্র সিং নেপালের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তারা সফল হতে পারেননি এবং ৮৫ রানেই নেপালের ইনিংস গুটিয়ে যায়।