প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের হাতে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়া স্পিনাররা সস্তায় গুটিয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে। সব মিলিয়ে একই দিনে দু'বার অল-আউট হয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংসে হারল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চুনকাম হলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
চট্টগ্রামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা প্রথম ইনিংসে অনায়াসে ৫০০ টপকে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংসে ব্যাট ছেড়ে দেয়। শতরান করেন তিনজন প্রোটিয়া তারকা। ওপেনার টনি ডি'জর্জি ২৬৯ বলে ১৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ত্রিস্তান স্টাবস ১৯৮ বলে ১০৬ রান করেন। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে উইয়ান মাল্ডার ১৫০ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দিনের শেষে তারা ৪ উইকেটে ৩৮ রান তুলেছিল। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে বাংলাদেশ একসময় ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ১৫৯ রানে।
মোমিনুল ১১২ বলে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম ইনিংসে একাই ৫টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন ডেন প্যাটারসন ও কেশব মহারাজ।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৪১৬ রানের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণেই নাজমুল হোসেন শান্তদের ফলো-অন করতে বাধ্য করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৪৩ রানে। অর্থাৎ, এক ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে চট্টগ্রাম টেস্ট হেরে বসে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, মীরপুরে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্তদের ইনিংসে হারাল প্রোটিয়া দল। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ৩৮, মাহিদুল ইসলাম ২৯, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৬ ও মাহমুদুল হাসান জয় ১১ রান করেন। প্রোটিয়াদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে ৫টি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। ৪৫ রানে ৪টি উইকেট পকেটে পোরেন মুথুস্বামী। সুতরাং, বৃহস্পতিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে নিজেদের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১৬টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের সেরা হন টনি ডি'জর্জি। সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন কাগিসো রাবাদা।