ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবেই তাঁদের টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে দিল বাংলাদেশ। এমনিতে যদি সিরিজও তাঁরা জিতত তাহলেও এত অবাক হওয়ার কিছু থাকল না। কিন্তু টি২০তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের চাহিদা গোটা বিশ্বের প্রায় সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই চূড়ায় থাকে, আর সেই তাঁদের দলই কিনা গোহারা হারল।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে বাগান সমর্থকদের উপহার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার! হায়দরাবাদ FC ম্যাচের টিকিট ফ্রি
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে। তৃতীয় টি২০ ম্য়াচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৯০ রান তাড়া করতে নেমেছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিইংসটাউনের মাঠে এই রান হয়ত খুব সহজ টার্গেট ছিল না। কিন্তু লড়াইটুকুও যে দিতে পারল না নিকোলাস পুরান, রোমারিও শেপার্ডদের দল। ৮০ রানে হারতে হল ম্যাচ। সিরিজ ৩-০ জিতল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য প্রাক্তন ইংরেজ তারকার? বাবা কলকাতার ছেলে ছিলেন!
প্রথম দুই টি২০তে আগেই জিতে যাওয়ায় সিরিজ পকেটেই ছিল বাংলাদেশের। ফলে টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস ব্যাটিংই নিয়েছিলেন, যদিও তিনি খুব একটা সফল হননি ব্যাট হাতে। করেন ১৪। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমরান করেন ৩৯। অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিজার করেন ২৩ বলে ২৯ রান। এরপরই খেলা জমিয়ে দেন বাংলাদেশের জাকের আলি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের শাসন করে মাত্র ৪১ বলেই ৭২ রান করেন জাকের আলি। বাংলাদেশের এই ব্যাটারের দাপটেই তাঁদের স্কোর পৌঁছে যায় ৭ উইকেটে ১৮৯ রানে। শেষদিকে তানজিম হাসান শাকিব ১২ বলে ১৭ রান করেন। রস্টন চেজ ভালো বোলিং করেন, ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। রোমারিও শেপার্ড নেন ২ উইকেট।
আরও পড়ুন-ওয়ার্নারের স্লেজিংয়ে ভয় পাননি! উল্টে দ্বিগুন স্লেজিং করেন পূজারা! ফাঁস করলেন রহস্য…
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট খোয়াতে থাকে উইন্ডিজ। ০ রানেই ফেরেন ব্র্যান্ডন কিং। ২৩ রান করেন জনসন চার্লস, ১৫ রান করেন নিকোলাস পুরান। ২৭ বলে ৩৩ রান করেন রোমারিও শেপার্ড। শেষ পর্যন্ত ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন তিনটি, তাসকিন আহমেদ এবং মেহেদি হাসান মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন জাকের আলি, সিরিজের সেরা হন মেহেদি হাসান মিরাজ।