যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ১৯৯ রানও তুলতে পারল না। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১৯৮ রানের জবাবে মাত্র ১৩৮ রানেই গুটিয়ে গিয়ে লজ্জার হারের মুখে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। হেরে গেল ৫৯ রানে। আর সেজন্য বাংলাদেশের অধিনায়ক মহম্মদ আজিজুল হাকিম তামিম এবং পেসারদের যতটা কৃতিত্ব প্রাপ্য, তার থেকেও বেশি প্রশ্ন উঠবে ভারতীয়দের টেকনিক নিয়ে। ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ৩৬ ওভারও টিকতে পারলেন ভারতের ছোটরা। বাংলাদেশের জালে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গিয়ে হেরে গেলেন তাঁরা। আর টানা দ্বিতীয়বার ছোটদের এশিয়া কাপ জিতে নিল বাংলাদেশ।
দিনের শুরুটা মোটেও খারাপ ছিল না
অথচ রবিবার সকালটা ভারতের ছোটদের জন্য মোটেও এরকম হতাশাজনক ছিল না। ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট তুলে নেয় ভারত। তারপর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। একমাত্র তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের একটা জুটি গড়েন মহম্মদ শিহাব জেমস এবং মহম্মদ রিজওয়ান হোসেন। তাছাড়া কোনও বড় জুটি গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: WTC Final Equation: হারতেই WTC-র পয়েন্ট তালিকায় এক থেকে তিনে নামল ভারত, ফাইনালের আশা শেষ? রইল অঙ্ক
রিজওয়ানই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৪০ রান করেন জেমস। ৩৯ রান করেন উইকেটকিপার মহম্মদ ফরিদ হাসান ফয়জল। যিনি নবম উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। সবমিলিয়ে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
ভালো বোলিং পশ্চিমবঙ্গের ছেলের
ভারতের হয়ে দুটি উইকেট নেন যুধাজিৎ গুহ,, হার্দিক রাজ এবং চেতন শর্মা। বাংলার ছেলে যুধাজিৎ ৯.১ ওভারে ২৯ রান খরচ করেন। একটি মেডেনও দেন। তাছাড়া একটি করে উইকেট পান কিরণ চোরমালে, আয়ূষ মাত্রে এবং কেপি কার্তিকেয়। কিরণ সাত ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করেন। কার্তিকেয় সাত ওভারে দেন ৩৭ রান। চেতন নয় ওভারে খরচ করেন ৪৮ রান। মাত্রে এক ওভার বল করে নয় রান দেন।
আর সেই বোলিং পারফরম্যান্সের সুবাদে মনে হয়েছিল যে ভারত জিতে যাবে। বিশেষত দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ভারতীয় ব্যাটাররা দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। রান পাচ্ছিলেন। কিন্তু আজও পাকিস্তান ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ভারত। আইপিএলে কোটিপতি হয়ে যাওয়া বৈভব সূর্যবংশী ফাইনালে সাত বলে নয় রান করে আউট হয়ে যান। আন্দ্রে সিদ্ধার্থ, কার্তিকেয় এবং মহম্মদ আমন ২০-র ঘর পেরিয়ে ৩০ রানের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি।
সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ কিনা ২৯ রানের!
স্বভাবতই কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি ভারত। আমন চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি মারাত্মক ঢিমেগতিতে খেলছিলেন। ৬৫ বলে ২৬ রান করেন। ফলে অপরপ্রান্তের সঙ্গীর উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে যাচ্ছিল। যে ঘটনা হয়েছিল পাকিস্তান ম্যাচেও। তাঁর ঢিমেগতির ইনিংসের কারণে সঙ্গীর উপরে চাপ পড়ে যাচ্ছিল। ফাইনালেও সেটার পুনরাবৃত্তি হয়। ফলে বাংলাদেশি বোলারদের উপরে চাপটা ঠেলে দেওয়া যাচ্ছিল না। বরং ক্রমশ ভারতীয়দের উপরে চেপে বসতে থাকেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত ১৩৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় ভারত। আর ভারতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ হয় ২৯ রানের।