অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে চা বাগানে নিয়ে গিয়ে ফোটোশ্যুট করাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর যা নিয়ে তুমুল হাসাহাসি শুরু করলেন নেটিজেনদের একাংশ। কটাক্ষ করলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। যদিও অনেকেই আবার এরকম পরিকল্পনার জন্য বাংলাদেশ বোর্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশ বোর্ড যে কাজটা করেছে, তাতে দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসকে। ফলে অহেতুক কটাক্ষ করে বাংলাদেশ বোর্ডকে ছোট করার অর্থ নেই বলে দাবি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
১৭৫ বছরের টি এস্টেটে ফোটোশ্যুট ক্যাপ্টেনদের
আসলে যে ফোটোশ্যুট নিয়ে এত হইচই চলছে, তা করা হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে সিলেটে সেই সিরিজ শুরু হচ্ছে। আর তার আগেরদিন বাংলাদেশের অধিনায়ক সুলতানা এবং আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক গ্যাবি লুইস ট্রফি নিয়ে ফোটোশ্যুট করেন।
আর ফোটোশ্যুটের জায়গা হিসেবে সিলেটের ১৭৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী মালনিছড়া টি এস্টেটকে বেছে নেওয়া হয়। মহিলা চা শ্রমিকরা যে পোশাক পরে কাজ করেন, তাতেই দু'দলের অধিনায়ককে সাজানো হয়। তারপর তাঁরা ট্রফি হাতে ফোটোশ্যুট করেন। উন্মোচন করা হয় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি।
ফোটোশ্যুট নিয়ে কটাক্ষ নেটপাড়ার
সেই ফোটোশ্যুটের ছবি এবং ভিডিয়ো সামনে আসার পরই নেটিজেনদের একাংশ হাসাহাসি শুরু করে দেন। এক নেটিজেন বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত। বিভিন্ন সিরিজের আগে বিভিন্ন কায়দায় ফোটোশ্যুট হয়েছে। কিন্তু এটা আলাদা পর্যায়েরই।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘জীবনে এরকম কোনও ট্রফি উন্মোচনের দৃশ্য দেখিনি।’
আরও পড়ুন: Champions Trophy 2025: ভারতে নিরাপত্তার সমস্যা নেই, পাকিস্তানের আবদার পত্রপাঠ খারিজ করল BCCI
'দুর্দান্ত আয়োজন করা হয়েছিল', প্রশংসা অনেকের
যদিও অনেকেই কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁরা বরং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এক নেটিজেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আজকের দিনটা লেখা থাকবে। দুর্দান্ত আয়োজন করা হয়েছিল। এই সুন্দর ও মনমুগ্ধকর পরিবেশে যে ট্রফি উন্মোচন করা হল, সেটা দুর্দান্ত।’ একইসুরে অপর এক নেটিজেন বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আসলে দুর্দান্ত কাজ করছে। দারুণ পদক্ষেপ। দেখে মনে হচ্ছে যে ধীরে-ধীরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিচক্ষণ হয়ে উঠছে।'
এক নেটিজেন বলেন, 'এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দুর্দান্ত কাজ করছে। পুরো বিশ্বের কাছে আমাদের সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরার জন্য কী দারুণ উদ্যোগ।' অপর একজন বলেন, ‘ক্রিয়েটিভ আইডিয়া। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করে বাংলাদেশের পর্যটনের জায়গাগুলিতে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার দরকার। বাংলাদেশের পর্যটনের পরিচিত বাড়বে। বিশ্বে সমৃদ্ধি লাভ করবে।’ এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘কাচ্চি বিরিয়ানিও খাওয়ানো হোক।’