ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের পর এখন টি-২০ সিরিজ চলছে। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছেন ভারত। দুরন্ত বোলিং করেন মায়াঙ্ক যাদব। তবে এই পেসারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মায়াঙ্ক যাদব তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ১৫০ কিমি বেগে বল করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গোয়ালিয়রের তাঁর বলের গতির কাছে বারবার সমস্যায় পড়তে দেখা যায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর বলের লেংথ। তিনি শর্ট বল করেন ঠিকই, কিন্তু এতটাও শর্ট করেন না যাতে ব্যাটসম্যান শট খেলতে পারেন।
মায়াঙ্ক যাদব তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে একটি ওভার মেডেন করেন।এরপরে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহকে আউট করে দেশের জার্সিতে নিজের প্রথম উইকেটটি নেন। এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২টি টি-২০ ম্যাচ বাকি আছে। আগামী ম্যাচগুলোতে যে তিনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আরও সমস্যায় ফেলবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে বাংলাদেশের অধিনায়কের ভারতের এই পেসারকে নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এরকম ধরণের বোলার নেটে রয়েছে। আমার মনে হয় না ওকে নিয়ে চিন্তার কিছু আছে। তবে হ্যাঁ ও একজন ভালো বোলার।’ তবে যতই বাংলাদেশের অধিনায়ক মুখে বলুন মায়াঙ্ক নিয়ে ভাবছেন না তিনি, বাস্তবে কিন্তু ছবিটা আলাদা। তাঁর গতি সামলাতে আচ্ছা-আচ্ছা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হিমশিম খেতে হয় রবিবারের ম্যাচে। তবে শুধু মায়াঙ্ক নয়, ভারতীয় বোলারদের দাপটে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যেতে হয় টাইগারদের।
ভারত সফরে আসা বাংলাদেশের টি-২০ দলে দ্রুত গতির বল করার মতো সেরকম কোনও ক্রিকেটার নেই। একমাত্র তাসকিন আহমেদ ঘণ্টায় ১৪০ কিমি গতিবেগের উপর বল করতে পারেন। তবে টেস্ট দলে নাহিদ রানা ১৫০ কিমি গতিবেগের উপর বল করতে পারতেন।
অন্যদিকে যদি আরও একবার মায়াঙ্কের পারফরম্যান্সের দিকে ফিরে তাকানো হয়, তবে দেখা যাবে এই পেসার শেষ দিকে কয়েকটি বাউন্ডারি দিয়েছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে বেশ ভালো ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন তিনি। মায়াঙ্ক প্রথম এবছর আইপিএলে নজরে আসেন। লখনউ সুপার জায়ান্টের হয়ে এক ম্যাচে তিনি ১৫০ কিমি বেগে বল করে চমকে দেন। যদিও এরপর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান তিনি। তাঁর চোটের ওপর নজর রাখা হয়েছিল ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। ৫ মাস পর রবিবার তিনি ফের ক্রিকেট মাঠে ফিরে এলেন।