Kanpur Test- বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ভারতে এসে চাপে শাকিবরা! হোটেলেই কাটছে সারাদিন…

ডানপন্থি সংস্থা, হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে আগেই হুঙ্কার দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। সেই কারণে কানপুরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে শাকিবদের দলের, তেমনই তাঁদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। চেন্নাইতে টেস্টের পর ক্রিকেটাররা শপিং মলে গিয়ে টুকটাক কেনাকাটা করেছিলেন, এখানে হোটেলের বাইরে বেরতে পারছেননা তারা

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কানপুরের হোটেল থেকে সেভাবে বেরোতেই দেওয়া হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ করলেন বিসিবির কর্তারা। কানপুরে টেস্ট সিরিজের শুরুরল আগে থেকেই বিতর্ক চলছে। সোমবার রয়েছে কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিন। আর এক দিন বাকি। উত্তর প্রদেশে আসার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রায় ৬দিন কাটিয়ে ফেললেও এখনও তাঁদের গতিবিধিতে হ্রাস টানা হয়েছে। আসলে কানপুর টেস্টের প্রথম দিনই ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। 

বাংলাদেশে গত দু মাস ধরে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তারই প্রতিবাদের রেশ এসে পড়ে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের সময়। তখনই আঁচ করা গেছিল, উত্তর প্রদেশে হয়ত খুব বেশি স্বাধিনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারবেন না লিটন দাস, শাকিব আল হাসানরা। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে, বলে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্তা।

ডানপন্থি সংস্থা, হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে আগেই হুঙ্কার দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। সেই কারণেই নিরাপত্তা যেমন জোরদার করা হয়েছে শাকিবদের দলের, তেমনই তাঁদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। চেন্নাইতে টেস্টের পর ক্রিকেটাররা কাছাকাছি এলাকায় শপিং মলে গিয়ে টুকটাক কেনাকাটা করেছিলেন, ঘুরেছিলেন। কিন্তু এখানে অর্থাৎ কানপুরে চিত্রটা একদমই আলাদা। খুব প্রয়োজন ছাড়া লিটন,মুশিকুরদের বেরোতেই দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিসিবির কর্তারা। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে থাকা এক কর্তা জানাচ্ছেন,  ‘আমাদের কানপুরে হোটেল থেকে বেরোতেই দেওয়া হচ্ছে না। খুব দরকার হলে এখানকার লোকাল পুলিশ স্টেশনের থেকে অনুমতি নিয়ে এবং আমাদের দায়িত্ব থাকা কো অর্ডিনেটর তথা লিয়াজো অফিসারকে জানিয়ে বেরতো হবে। আমাদের জন্য প্রচুর পুলিশ রাখা হয়েছে। যদি জিমেও যাই, তাহলে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা আধিকারিকদের জানানো হচ্ছে, তাঁরা রাস্তা ফাঁকা করে দিলে আমরা যাচ্ছি। চেন্নাইতে আমরা সমুদ্র সৈকতেও ঘুরতে গেছিলাম, রাস্তার খাবারও খেতে পেরেছি। কিন্তু এখানে একদমই আলাদারকম পরিস্থিতি। ’।

 

কানপুর পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, হোটেলের লবিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের ঘোরাফেরার ক্ষেত্রে কোনও বাধাই নেই। কিন্তু বাইরে যাওয়ার অনুমতি তাঁদের নেই, একমাত্র খেলার দিনগুলো ছাড়া। স্রেফ উত্তর প্রদেশেই নয়, ৬ই অক্টোবর তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা গোয়ালিওরে। সেখানেও নিরাপত্তার এমন বজ্রআঁটুনিতেই থাকতে হবে লিটন দাস, তাসকিন আহমেদদের।