ভয়ঙ্কর ঘটনা। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। বড় ঘটনা বাংলাদেশের। ঢাকা পুলিশ স্টেশনে শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল এক পরিবার। তাঁদের ছেলের খুনের সঙ্গে জড়িত শাকিব, অভিযোগ করেছে সেই পরিবার। এই মূহূর্তে পাকিস্তানে সিরিজ খেলছেন এই ক্রিকেটার। এরই মধ্যে অশান্ত বাংলাদেশে এক কাপরের কারখানার শ্রমিককে খুনের অভিযোগ উঠল শাকিবের বিরুদ্ধে। তিনি শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সাংসদও ছিলেন। সেই শাকিবের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ঢাকা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেছে মৃত-র বাবা।
আরও পড়ুন-মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ যোগীর রাজ্যে! ২ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল…
খুনের ঘটনার ইতিমধ্যেই মামলা রুজু হয়েছে। বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে, এবার সেই ঘটনায় নাম জড়ালো সদ্য রাজনীতিতে আসা আওয়ামি লিগের সাংসদের। তিনি শেখ হাসিনার দলের সাংসদ ছিলেন, কিন্তু শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে চলা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং কোটা আন্দোলনের ফলে আওয়ামি লিগের সরকার কার্যক পড়ে যায়। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা, এরপর একে একে তাঁর দলের বহু নেতারাই দেশ ছেড়েছিলেন।
বাংলাদেরেশ ডি ফ্যাক্টো ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে বিসিবি পাকিস্তান সিরিজের দল পাঠিয়েছিল, সেখানে শাকিব আল হাসানের নাম ছিল। কিন্তু সেটা দেখে বাংলাদেশের নতুন অন্তরবর্তী সরকারের তরফে শাকিবকে আটকানো হয়নি। যদিও তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না সেই সময়, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে ব্য়স্ত ছিলেন কানাডায়। বস্ত্র কারখানায় কাজ করতেন মৃত মহম্মদ রুবেল, তাঁর বাবা রফিকুল ইসলাম ঢাকার আদাবোর পুলিশ স্টেশনে শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশের এফআইআরের তালিকায় অনুযায়ী ২৭ অথবা ২৮ নম্বরে নাম রয়েছে শাকিবের।
আরও পড়ুন-কলকাতা লিগে মহমেডান-সুরুচি সঙ্ঘ ম্যাচ ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে! পিছিয়ে গেল… মোহনবাগানের ম্যাচ..
তবে খুনের সময় তিনি দেশে ছিলেন না। প্রথমে টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন জুন মাসে, এরপর জুলাই অগাস্টে খেলছিলেন আমেরিকায় মেজর লিগ ক্রিকেট এবং কানাডার লিগে, ফলে শাকিব প্রত্যক্ষভাবে না পরোক্ষভাবে জড়িত, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অগাস্টের ৫ তারিখ শাকিব আল হাসান বা অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা কারোর নির্দেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় আদাবোর এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা ঘটে, সেই সময় রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রুবেল। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর পরে মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও দায়িত্বে এসেছেন ফারুক আহমেদ।