সকালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখেনি বাংলাদেশ। আর সন্ধ্যায় মাঠে নেমেই সেটার 'জবাব' দিলেন লিটন দাস। তানজিদ হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে এমন 'জবাব' দিলেন যে বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তুলে ফেলল ঢাকা ক্যাপিটালস। শুধু তাই নয়, দু'জনের জুটিতে ১১৭ বলে যে ২৪১ রান যুক্ত হয়েছে, তা সবধরনের পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। লিটন নিজে ৫৫ বলে অপরাজিত ১২৫ রানের যে ইনিংসটা খেলেন, তা বিপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান। আর পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান হাঁকিয়েছেন লিটন। ৪৪ রান শতরান পূরণ করেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম শতরানের মালিক পারভেজ হোসেন ৪২ বলে সেই মাইলস্টোন পূরণ করেছিলেন।
পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি
১) ২৫৮ রান: কেন্ডেল কাদোয়াকি-ফ্লেমিং এবং এল ইয়ামোতো-লেক, জাপান বনাম চিন, ২০২৪ সাল।
২) ২৪১ রান: লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান, ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম দুর্বার রাজশাহি, ২০২৫ সাল।
৩) ২৩৬ রান: হজরতউল্লাহ জাজাই এবং উসমান ঘানি, আফগানিস্তান বনাম আয়ারল্যান্ড, ২০১৯ সাল।
৪) ২২৯ রান: বিরাট কোহলি এবং এবি ডি'ভিলিয়ার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম গুজরাট টাইটানস, ২০১৬ সাল।
৫) ২২৩ রান: অ্যারন ফিঞ্চ এবং ডি'আর্চি শর্ট, অস্ট্রেলিয়া বনাম জিম্বাবোয়ে, হারারে, ২০১৮ সাল।
১৯.৩ ওভারে ঢাকার প্রথম উইকেট নেয় রাজশাহি
আর লিটন এবং তানজিদের সেই ২৪১ রানের জুটিটা আসে রাজশাহির মাঠে। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে রাজশাহি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন লিটন এবং তানজিদ। তাঁদের জুটি ভাঙতেই পারেননি আসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা। ১৯.৩ ওভারে প্রথম উইকেট নেয় রাজশাহি।
ততক্ষণে ৬৪ বলে ১০৮ রান করে ফেলেন তানজিদ। মারেন ছ'টি চার এবং আটটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৮.৭৫। অন্যদিকে ৫৫ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। ১০টি চার মারেন। ন'টি ছক্কা হাঁকান। স্ট্রাইক রেট ২২৭.২৭। আর সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে এক উইকেটে ২৫৪ রান তোলে ঢাকা।
ঢাকার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রাজশাহি
সেই রানটা তাড়া করতে নেমে ১৫.২ ওভারে ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায় রাজশাহি। একমাত্র রায়ান বার্ল ছাড়া কেউ দাগ কাটতে পারেননি। ৩২ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করেন জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটার। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। ১৪৯ রানে হেরে যায় রাজশাহি। ঢাকার পাঁচ বোলারই উইকেট নেন। তবে লিটন যে ইনিংসটা খেলেন, সেটার পরে তারকা ব্যাটার ছাড়া কাউকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া যেত না। সেটা হয়নি। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন লিটন।