বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বলেছেন যে, ঘরের মাঠে আরও ভালো পিচ পেলেই বাংলাদেশ তাদের দুর্বল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ড উন্নতি করার আশা করতে পারে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যের ভাঁড়ার সে অর্থে শূন্য। দলীয় সাফল্য বলতে তেমন কিছু নেই। কখনও বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব কটি আসরেই খেলেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার উপচে পড়লেও, তার কোনও ফল পাইনি বাংলাদেশ। কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপে কেন সাফল্য নেই বাংলাদেশের?
আরও পড়ুন: মন্নাতে বসে গম্ভীরকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন শাহরুখ, কিছুই টের পাননি LSG কর্ণধার- রিপোর্ট
টাইগারদের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, দেশের উইকেটকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে নাজমুল বলেছেন, ‘প্রথমত আমাদের ভালো উইকেটে খেলতে হবে। অনেকেই এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখতে পারেন। তবে এটাই বাস্তব যে, আমরা খুব কম ম্যাচই ভালো উইকেটে খেলি।’ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লজ্জাজনক সিরিজ হারের পর থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। আর দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে নাজমুল উইকেটকেই দায়ী করেছেন।
বাংলাদেশের পিচগুলি মূলত কম স্কোরিং ম্যাচের জন্য পরিচিত। এবং তাদের বিশ্বকাপ দলে শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়ই রয়েছেন, যাঁর স্ট্রাইকরেট ১৩০-এর উপরে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়ের টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইকরেট একমাত্র ১৩০-এর উপরে- ১৩৯.৫৯। নাজমুলের দাবি, ‘ছয় মাসের মধ্যে সব কিছু বদলে ফেলা কঠিন। আমরা যদি ভালো উইকেটে এক-দু' বছর খেলতে থাকি, তাহলে স্ট্রাইক রেটের উন্নতি সম্ভব।’
আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে থাকা বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মাধ্যমে কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেয়েছিল। কিন্তু হিউস্টনে তিন ম্যাচের ওয়ার্ম-আপ সিরিজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের পর ফের তারা বড় ধাক্কা খেয়েছে।
ইউএসএ-র বিরুদ্ধে সিরিজের আগে নাজমুল বলেছিলেন, ‘আমরা কয়েকটি সিরিজ জিতেছি এবং আমরা বড় দলের বিপক্ষে জিতেছি। দলের আত্মবিশ্বাস ভালো জায়গায় রয়েছে।’ তিনি যোগ করেছিলেন, ‘সম্প্রতি আমরা যে ম্যাচগুলো খেলেছি, বিশ্বকাপে যদি আমরা সেরকম খেতে পারি, যদি আমরা সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, যদি আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। তাদের খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। এক-একটি গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যাবে দু'টি করে দল। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কা কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে পরের পর্বে যেতে কঠিন লড়াই করতে হবে বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ জুন। এই দুই দলের মধ্যে বহু দিন ধরেই নানা তর্জা চলছে। যা আরও বেড়েছে গত মার্চে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর শ্রীলঙ্কার ‘টাইমড আউট’ সেলিব্রেশন নিয়ে নাজমুল তখন বলেছিলেন, ‘ওরা এখনও টাইমড আউট থেকে বের হতে পারেনি। আমার মনে হয়, বের হওয়া উচিত। বর্তমানে থাকা উচিত। আমার মনে হয় আমরা নিয়মের বাইরে কিছু করিনি। ওরা একটু বেশিই মাতামাতি করছে, করুক। আমরা এটা নিয়ে ভাবছি না।’