বড় বিতর্কিত ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটে। মহিলা ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করা হয়েছে। আইসিসির তরফে এক বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করা হয় গড়াপেটার ঘটনায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-শততম টেস্টে ক্রিকেটকে বিদায়! শেষ ইনিংসে করুণারত্নে করলেন ১৪, দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫০
ফিক্সিংকাণ্ডের জেরে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হল সোহেলি আক্তার নামক এক বাংলাদেশি মহিলা ক্রিকেটারকে। সোহেলি নিজেও নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন, ফলে তাঁর শাস্তি ঘোষণা করতে আইসিসিও আর বেশি দেরি করেনি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী পাঁচটি ধারা ভাঙার অপরাজ করেছেন তিনি, যার মধ্যে অন্যতম ম্যাচে গড়াপেটা।
সোহেলির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি ম্যাচের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন আরেক পক্ষের দলের সঙ্গে যোগ রেখে। অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচে ভালো না খেলে, প্রতিপক্ষ দলকে সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। ফিক্সিংয়ের যোগসাজশসহ আরও বেশ কয়েকটি অপরাধ সংগঠিত করেছেন তিনি। যেমন দলের ক্রিকেটারদেরও প্রলোভন দেখিয়ে প্ররোচনায় পা দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
অর্থাৎ এক প্রকার তিনিই কার্যক বুকিদের মতোই আচরণ করেছেন। আইসিসির অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিটের নিয়ম রয়েছে, কারোর কাছে যদি ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত প্রস্তাব আসে, তাহলে তা জানাতে হয়। কিন্তু সেটা জানার পর আইসিসিকে জানানো তো দূরের কথা, তিনি নাকি প্রমাণ নষ্ট করারই চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন-আয়ুবের চোট, ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনার কে? রিজওয়ান বলছেন, ‘কিং কর লেগা’,
৩৬ বছর বয়সী সোহেলি বাংলাদেশ ক্রিকেটে পরিচিত তাঁর অফ স্পিন বোলিংয়ের জন্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যেহেতু নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে তাই এক্ষেত্রে বোর্ডের আর কোনও কিছুই করার নেই। আইসিসির শাস্তি তাঁকে পেতে হবে এবং বিসিবিও নির্দিষ্ট আইন মেনে তা প্রয়োগ করবে। ২০২২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে শেষবার খেলেছিলেন তিনি। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর শাস্তির মেয়াদ শুরু হল বলে জানা গেছে।