‘ভারতের ১৪ জনের বিরুদ্ধে খেলল ১১ জনের বাংলাদেশ’, ‘ভারতকে জেতাতে আপ্রাণ চেষ্টা করলেন আম্পায়াররা’- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতের কাছে দুরমুশ হয়েও 'কাঁদুনি' থামল না বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া ‘বিপ্লবী’-দের একাংশের। কখনও অভিযোগ তুললেন ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে, কখনও আবার নো বল নিয়ে অভিযোগ তুললেন তাঁরা। যদিও অনেকেই সেইসব পথে হাঁটেননি। বরং বাংলাদেশের অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন, ভারতকে হারাতে গেলে যে মানের ক্রিকেট খেলতে হয়, সেটা খেলতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত, শাকিব আল হাসানরা। বাংলাদেশও সরকারিভাবে কোনও অভিযোগ জানায়নি। তারইমধ্যে বাংলাদেশি নেটিজেনদের কেউ-কেউ তো নিজেদের দলের খেলোয়াড়দের দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছেন। চরম কটাক্ষ করে এক নেটিজেন বলেন, ‘ইন্ডিয়া ১৯৭ রানের টার্গেট দিয়েছে। এটা তাদের পার্সোনাল ম্যাটার। আমাদের প্লেয়াররা নিজেদের মতো একটা টার্গেট সেট করে সেই অনুযায়ী নিশ্চিন্তে খেলছে। এটাই তো স্বাধীনতা। ক্রিকেটের সৌন্দর্য এখানেই।’
DRS নিয়ে ‘বাহানা’
তাতে অবশ্য বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া ‘বিপ্লবী’-দের সম্বিত ফেরেনি। তেমন এক ‘বিপ্লবী’-র অভিযোগ, তানজিদ হাসানের আউটের ক্ষেত্রে জালিয়াতি করা হয়েছে। কুলদীপ যাদবের বলটা তাঁর প্যাডে আছড়ে পড়েছিল। আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরএস নেন তানজিদ। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল যে বলটা হয়তো লেগস্টাম্পে লাগবে না। যদিও রিভিউয়ে দেখা যায় যে বলটা স্টাম্পেই আছড়ে পড়ছে। ফলে আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় তানজিদকে। কিন্তু ওই ‘বিপ্লবী’ আবার তাতে চক্রান্তের গন্ধ পান।
নো বল নিয়ে হইচই
বাংলাদেশের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলটা জসপ্রীত বুমরাহের হাত থেকে ফসকে যায়। ফুলটস হিসেবেই শট মারেন তানজিদ। তিনি আবেদন করলেও আম্পায়াররা নো-বল দেননি। তবে বলটা নিশ্চিতভাবে কোমরের উপরে ছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সেটা নো-বল হলেও সেটার জন্য বাংলাদেশ যে জিতে যেত, সেটা নিশ্চয়ই বলা যায় না। সেই রেশ ধরেই কেউ-কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘সত্যিই তো। নো বলে ৫০ রান হত। আর বাংলাদেশ জিতে যেত।’
তবে আসল বিতর্কের রসদ ছিল বুমরাহের দ্বিতীয় বলটায়। তানজিদের ব্যাটে লেগে বলটা উইকেটের পিছনে চলে যায়। ঋষভ পন্ত ফস্কে দেন ক্যাচ। ওই ক্যাচটা যদি ঋষভ ধরে নিতেন, তাহলে যে হইচই বাড়ত, কোনও সন্দেহ নেই। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, যদি ওই ক্যাচটা ধরে নিতেন পন্ত, তাহলে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের সাত খুন মাফ হয়ে যেত। পুরো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠত নো বল।
ওয়াইড দেয়নি কেন?
শেষ ওভারের চতুর্থ বল হচ্ছে- জয়ের জন্য তিন বলে ৫২ রান চাই বাংলাদেশের। স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। তাঁর পায়ের কাছে বল করেন আর্শদীপ সিং। এগিয়ে এসে মারতে চান বাংলাদেশের তারকা। তবে সেটা পারেননি। বলটা লেগস্টাম্পের একেবারে পাশ দিয়ে চলে যায়। ওয়াইড কেন দেওয়া হল না, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মাহমুদুল্লাহ। আম্পায়ার স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যদি নড়াচড়া না করতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে ওয়াইড হত।