‘কসাইয়ের মতো খেলল ভারত’- কানপুর টেস্টে রোহিত শর্মাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখে এমনই হাহাকার শোনা গেল বাংলাদেশিদের গলায়। আর সেই হাহাকারের স্বরটা আরও জোরালো হয়েছে কারণ প্রায় আড়াই দিন খেলা ভেস্তে যাওয়ার পরে যেখানে অধিকাংশ বাংলাদেশিই ভেবেছিলেন যে কানপুরে হারতে হবে না। ড্র হয়ে যাবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কয়েকটি পয়েন্টও ঝুলিতে চলে আসবে। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে চতুর্থ দিনে ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডবে যে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ, হার বাঁচাতে লড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা, সেটা কিছুতেই হজম করতে পারছেন না বাংলাদেশিদের অনেকেই। যদিও শেষপর্যন্ত অনেকেই একবাক্যে তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে ভারতীয় খেলোয়াড়দের দক্ষতা এবং তাঁদের মানসিকতার ধারেকাছেও নেই বাংলাদেশ।
পুরো ১২ পয়েন্টই চাই ভারতের
আর এখানে মানসিকতাটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অল-আউট হয়ে গেলেও কানপুর টেস্ট যে শেষপর্যন্ত ড্র হতে চলেছে, সেটা ভেবে নিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু রোহিত, যশস্বী জয়সওয়ালরা সবাইকে চমকে দেন। প্রথম ওভারেই চারটি বাউন্ডারি মারেন জয়সওয়াল।
আর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই স্টেপ-আউট করে রোহিত যে ছক্কাটা মারেন, তাতেই সকলে নিশ্চিত হয়ে যান যে কানপুর টেস্ট থেকে পুরো ১২ পয়েন্ট তোলার জন্যই ঝাঁপাচ্ছে ভারত। যা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ এখন শ্রীলঙ্কা বেশ ভালো খেলছে। সেই পরিস্থিতিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে এক পয়েন্টও নষ্ট করতে চায় না ভারত (ড্র হলে চার পয়েন্ট মিলবে)। বাংলাদেশের পরে আরও কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে।
ইতিহাসের পর ইতিহাস ভারতের
আর সেটার জন্য প্রত্যেক ব্যাটার দ্রুতগতিতে খেলতে থাকেন। রোহিতের স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৮.০৯। যশস্বী, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল যথাক্রমে ১৪১.১৭, ১০৮.৩৩, ১৩৪.২৮ এবং ১৫৮.১৩ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন। আর সেটার সুবাদে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ রান, ১০০ রান, ১৫০ রান, ২০০ রান এবং ২৫০ রান করেছে ভারত। শেষপর্যন্ত ৩৪.৪ ওভারে নয় উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় টিম ইন্ডিয়া। অর্থাৎ রানরেট ছিল ৮.২২।
আরও পড়ুন: India vs Bangladesh- ৮.২২ রানরেটে ২৮৫/৯ তুলল ভারত! বাংলাদেশ বোলারদের কচুকাটা করে আরও নজির রোহিতদের…
'ভারতের ব্যাটিং, ও মাই গড…..’, হতবাক বাংলাদেশিরা
আর ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সেই রূদ্ররূপ দেখার পরে এক বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘বাংলাদেশিদের নিয়ে ছেলেখেলা করা হল। ছিনিমিনি করা হল বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে।’ অপর এক বাংলাদেশি নেটিজেন বলেন, ‘ভারতের ব্যাটিং, ভারতের ব্যাটিং, ও মাই গড…।’
টেস্টের ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ডবুকে ‘টাইগার’-দের নাম ওঠার পরে অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘কসাইয়ের মতো টি-টোয়েন্টি খেলল ভারত। বাংলাদেশকে পিটিয়ে কসাইয়ের টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছে।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভারত ভেবে নিয়েছিল যে টি-টোয়েন্টি খেলেই ২৩৩ রান তুলে নেবে। তারপর ২৮৫ রান করে লিড পেয়ে গেল। মামা..ও মামা।’