টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই ভারতের হেড কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ঘনিষ্ঠমহলে দ্রাবিড় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি নতুন করে টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিয়ে আগ্রহী নন। সুতরাং, বিশ্বকাপের পরে রোহিত শর্মাদের জন্য নতুন কোচ খুঁজে নিতে হবে বিসিসিআইকে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সিনিয়র দলের নতুন হেড কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রয়োজনীয় যোগ্যতামান ও বয়ঃসীমাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় ক্রিকেটমহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, দ্রাবিড়ের পরে কার হাতে উঠতে পারে টিম ইন্ডিয়ার বাগডোর।
এক্ষেত্রে একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম সামনে উঠে আসছে। আশিস নেহরা, গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মতো টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকারা ভারতের কোচ হওয়ার আগ্রহ দেখাতে পারেন। তবে বিসিসিআই বিদেশি কোচের হাতে দায়িত্ব দিতে আগ্রহী বলেও শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের নজরে রয়েছেন এমন একজন, ভারতীয় ক্রিকেটমহলে যাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংকে রোহিতেদের হেড স্যার করতে চাইছে বলে খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের সাফল্যের পিছনে কোচ ফ্লেমিংয়ের অবদান কতটা, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
এখন প্রশ্ন হল, ফ্লেমিং সিএসকের দায়িত্ব ছেড়ে ভারতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার আগ্রহ দেখাবেন কিনা। কেননা টিম ইন্ডিয়ার হটসিটে বসলে বছরে অন্তত ১০ মাস বাড়ি থেকে বাইরে থাকতে হবে। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র মারফৎ সংবাদ মাধ্যমটি জানতে পেরেছে যে, ফ্লেমিংয়ের ম্যান ম্যানেজমেন্ট স্কিল ভারতীয় সাজঘরে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে পারে বলে বিশ্বাস বোর্ড কর্তাদের।
আগামী কয়েক বছরে ভারতীয় ক্রিকেটের খোলনলচে অনেকটাই বদলাতে পারে। বিদায় নিতে পারেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র তারকা। সুতরাং, এমন পরিস্থিতিতে দক্ষ হাতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হাল ধরতে পারেন ফ্লেমিং, ঠিক যেমনটা তাঁকে চেন্নাইয়ের কোচ হিসেবে করতে দেখা গিয়েছে।
ফ্লেমিং ভারতের হেড কোচ হওয়ার জন্য আবেদন জানালে জল্পনা আরও জোরদার হবে সন্দেহ নেই। ফ্লেমিং যদি শেষমেশ টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ হতে আগ্রহী হন, তাহলে পরের মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসকে একই সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ফ্লেমিংয়ের পরিবর্ত খুঁজতে হতে পারে। কেননা ধোনি পরের মরশুমে ফের চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলে ফিরবেন কিনা, নিশ্চিত নয় এখনও।