ইতিমধ্যেই ICC-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জয় শাহ। বৃহস্পতিবার প্রথমবার বৈঠক করলেন তিনি। তবে তাঁর জায়গায় BCCI-র সচিব পদে কে বসবেন তা খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছে বোর্ড। BCCI-এর সংবিধান অনুযায়ী, জয় শাহ পদ ছাড়ার পর একটি স্পেশাল জেনারেল মিটিং ডাকতে হবে, সেখানেই পরবর্তী সচিব কে হবেন তা ঠিক করা হবে। তবে এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পরবর্তী সচিব কে হবেন তা নিয়ে এখনও কোনও ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি কর্তারা। এও মনে করা হচ্ছে বোর্ড মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের জন্য কিছুটা বাড়তি সময় নিচ্ছিল। কারণ BCCI-এর কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলার মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
BCCI-এর তরফে একজন জানিয়েছেন, ‘BCCI পরবর্তী সচিব পদের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও শক্তিশালী পদপ্রার্থীকে খুঁজে পায়নি, যে কিনা নিজের সম্পূর্ণ মেয়াদের থেকে ১ বছর দিতে ইচ্ছুক। আগামী বছর বোর্ডের নির্বাচন রয়েছে। তাই এই মুহূর্তেই যেই পদে বসুন না কেন তিনি যে পরের বছর সচিব থাকবেন সেটা চূড়ান্ত নয়। তাই মনে করা হচ্ছে অস্থায়ীরূপে বোর্ডের মেম্বারদের মধ্যেই কেউ এই মুহূর্তে দায়িত্ব সামলাবেন।’
BCCI-এর নিয়ম অনুযায়ী একজন সর্বোচ্চ ৬ বছরের জন্য বোর্ডের পদে থাকতে পারেন। তারপর তাঁকে বাধ্যতামূলক ভাবে ৩ বছরের জন্য কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হয়, অর্থাৎ সেই ৩ বছর তিনি বোর্ডের কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এই ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিই নিজের ৬ বছরের মেয়াদকালের মধ্যে থেকে ১ বছর নষ্ট করতে নারাজ। কারণ আগামী বছর নির্বাচনে তিনিই যে সচিব হিসেবে নির্বাচিত হবেন সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
ইতিমধ্যেই রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলির তরফে বোর্ডের উদ্দেশে এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সচিব পদের জন্য একাধিক নামও শোনা যাচ্ছে। দৌড়ে রয়েছেন গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অনিল প্যাটেল, দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহন জেটলি।
একটা সময় CAB সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও শোনা যাচ্ছিল। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল বোর্ডের তরফে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। যদিও এই বিষয় কোনও মুখ খোলেননি স্নেহাশিস। তবে এখন শেষ পর্যন্ত কে হবেন BCCI-এর পরবর্তী সচিব সেই প্রশ্নের জবাব নেই কর্তাদের কাছে। কে হবেন জয় শাহের উত্তরসূরি তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে আরও কিছুদিন।