আইপিএল ২০২৪-এর ফাইনালে রীতিমতো আত্মসমর্পণ করে হার মানে সানরাইজার্স হায়দরবাদ। যদিও তাদের ঘরের মাঠ উপ্পল পুরস্কার অর্থ ঘরে তোলে সব থেকে বেশি। অন্যদিকে আইপিএল ফাইনালে ধবংসাত্মক পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সকে বাকি ৯টি দলের মতো সমান পুরস্কার অর্থেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
বড় টুর্নামেন্টের শেষে মাঠকর্মীদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে বিসিসিআই প্রায়শই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে। এবছর আইপিএলের দুর্দান্ত সাফল্যের পিছনে মাঠকর্মীদের অবদান অস্বিকার করা যাবে না। তাই আইপিএল ২০২৪-এর ফাইনালের শেষেই বিসিসিআইয়ের তরফে সবক'টি স্টেডিয়ামের মাঠকর্মী ও কিউরেটরদের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইপিএলের ম্যাচকেন্দ্রগুলির জন্য এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়ে দেন, যে ১০টি স্টেডিয়াম আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলের মূল হোম গ্রাউন্ড, তাদের মাঠকর্মী ও কিউরেটরদের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার বরাদ্দ করেছে বিসিসিআই। এছাড়া অন্য যে তিনটি স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৪-এর গুটিকয়েক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে, সেগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
সুতরাং, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স, হায়দরাবাদের উপ্পল, রাজস্থানের সোয়াই মান সিং, আরসিবির চিন্নাস্বামী, চেন্নাইয়ের চিপক, দিল্লির কোটলা, লখনউয়ের একানা, গুজরাটের মোতেরা, পঞ্জাবের মুল্লানপুর ও মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়, এই ১০টি স্টেডিয়ামের মাঠকর্মীদের সাকুল্যে ২৫ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেবে বিসিসিআই। আর ধরমশালা, ভাইজ্যাগ ও গুয়াহাটি পাবে ১০ লক্ষ টাকা করে।
তাছাড়া এবছর আইপিএলের সেরা মাঠ ও পিচের পুরস্কার জিতেছে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। সেই নিরিখে তারা ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার পেয়েছে। সুতরাং, আইপিএলের ৫০ লক্ষ ও বিসিসিআইয়ের ২৫ লক্ষ মিলিয়ে উপ্পল পাচ্ছে ৭৫ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, এবছর আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে। চিপকে সিএসকের ৭টি হোম ম্যাচ ছাড়াও আয়োজিত হয় আইপিএল ২০২৪-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচ। সুতরাং, আইপিএলের মোট ৯টি ম্যাচ খেলা হয় চেন্নাইয়ে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর মিলিয়ে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও খেলা হওয়ার কথা ছিল ৯টি ম্যাচ। তবে কেকেআরের বিরুদ্ধে গুজরাট জায়ান্টসের হোম ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়। ফলে ,সেখানে আয়োজিত হয় সাকুল্যে ৮টি ম্যাচ।