শুভব্রত মুখার্জি:- এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেট হয় তিনটি ফর্ম্যাটে। টেস্ট, টি-২০ এবং ওয়ানডে ফর্ম্যাটে হয় খেলাটা। সাদা বলের ফর্ম্যাটের ক্রিকেট এই মুহূর্তে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে যতটা জনপ্রিয়, লাল বলের ক্রিকেটে সেই জনপ্রিয়তা কমেছে। লাল বলের ক্রিকেট অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে আইসিসি থেকে বিসিসিআই সকলেই উদ্যোগী। সেই উদ্যোগে সামিল হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল অর্থাৎ এসিসিও। টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে এবার অল আউট যেতে চাইছে আইসিসি। আর তাতে সায় রয়েছে বিসিসিআই সচিব জয় শাহের। আইসিসির তরফে ১২৫ কোটি টাকা খরচ করার কথা ভাবা হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের পুনরুজ্জীবনে।
তবে ঘটনাচক্রে এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে বিশ্ব ক্রিকেটে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বোর্ডগুলোকে। এই ফান্ড পাবে না ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতন ধনী দেশগুলো। কারণ এই ধনী বোর্ডগুলো ইতিমধ্যেই তাদের ক্রিকেটারদের যথেষ্ট ভালো বেতন দিচ্ছে। আইসিসির তরফে ১৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার খরচ করার কথা ভাবা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বোর্ডগুলো যাতে তাদের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়াতে পারে। যাতে তারা টেস্ট ক্রিকেট খেলাটার প্রতি আরও বেশি করে আকৃষ্ট হয়। এই মুহূর্তে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রমরমা। ফলে বিভিন্ন দেশের তারকারা, নবীন প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা সকলেই ঝুঁকছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট অর্থাৎ টি-২০ ফর্ম্যাটের ক্রিকেট খেলতে। এই বিষয়টিকে আটকাতে টেস্টে ম্যাচ ফি বাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী আইসিসি। যাতে সম্পূর্ণ সায় রয়েছে বিসিসিআই সচিব জয় শাহর।
আরও পড়ুন… Shikhar Dhawan: আঙুল ভেঙে গিয়েছিল, পরে পেনকিলার খেয়ে ১১৭ রান করি- সেরা ইনিংসের কথা জানালেন ধাওয়ান
এই বিষয়টি প্রথমে প্রস্তাব করা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে। এই প্রস্তাবটিকে ইতিমধ্যেই সমর্থন করেছেন বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ। যাকে পরবর্তী আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখছেন অনেকেই। তিনি এই প্রস্তাবকে সমর্থন করার ফলে আলাদা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই দাবি। এই যে অতিরিক্ত ফান্ডিংয়ের কথা বলা হচ্ছে। তা ম্যাচ ফি বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের বিদেশ সফরে যাওয়ার যে খরচ তাও বহন করা হবে এই ফান্ড থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতন ক্রিকেট বোর্ড যারা এই মুহূর্তে আর্থিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে তাদেরকে এটা দিয়ে সাপোর্ট করা। একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি অন্ততপক্ষে ১০,০০০ আমেরিকান ডলার করার ভাবনা রয়েছে। এর ফলে টেস্টের জন্য যেসব বাধা বিপত্তি রয়েছে ত অনেকটাই কেটে যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। তবে সবটাই নির্ভর করছে আইসিসির সঙ্গে স্টার স্পোর্টসের চুক্তির উপরে। শোনা যাচ্ছে স্টার নাকি ২০২২ সালে আইসিসির সঙ্গে করা চুক্তি পুনঃ মূল্যায়ন করতে চায়। তারা এই চুক্তির অঙ্ক কমাতে চাইছে। আর তা হলে ধাক্কা খেতে পারে আইসিসির এই পরিকল্পনা। প্রায় তিন বিলিয়ন আমেরিকান ডলার কমানোর ভাবনা চিন্তা রয়েছে স্টারের।