ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে তিনি আপাতত চিকিৎসাধীন। বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) প্রাক্তন তারকাকে সাহায্য করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ প্রবীণ খেলোয়াড়কে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য অবিলম্বে ১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এই কাজটি দ্রুত করার জন্য তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্যানসারের মতো রোগের চিকিৎসার বিপুল খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গায়কোয়াড়ের পরিবার। এই পরিস্থিতিতে তাঁর সতীর্থরা পাশে দাঁড়ান। পাশাপাশি তাঁরা বিসিসিআই-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। প্রথম সন্দীপ পাটিল বোর্ডের নজরে আনেন বিষয়টি। এর পর বোর্ডের কাছে আবেদন জানান ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও। ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্যের কথাও বলেছেন কপিল। লন্ডনের হাসপাতালে দেখতেও যান পাটিল এবং দিলীপ বেঙ্গসরকার। তার পরেই সন্দীপ পাটিল ফোনে যোগাযোগ করেন বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলারের সঙ্গে। এর পর বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ফোনে কথা বলেন গায়কোয়াড়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কঠিন সময়ে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বোর্ড সচিব। রবিবার বিসিসিআই জানিয়েছে, গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার জন্য ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খেলার হলে খেলো, আমরা টিম পাঠাব না- পাকিস্তানের লাইভ টিভি শো-তে চাঁচাছোলা হরভজন
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব আগেই জানিয়েছিলেন, গায়কোয়াড়ের সতীর্থরা যেমন- মহিন্দর অমরনাথ, সুনীল গাভাসকর, সন্দীপ পাটিল, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মদন লাল, রবি শাস্ত্রী এবং কীর্তি আজাদরা নিজেদের মতো করে অংশুমানের জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
১৯৭৪ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সেই জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল অংশুমানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটের হাত ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তাঁর। সেই বছরই লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের দলেও অভিষেক হয় অংশুমান গায়কোয়াড়ের। দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট এবং ১৫টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। করেছেন মোট ২২৫৪ রান। টেস্টে দু’টি শতরান রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন: যশস্বী এবং শুভমন নতুন করে রেকর্ড বই লিখলেন, বড় নজির গড়লেন ভারতের ওপেনিং জুটি
ভারতীয় দলে কোচিংও করিয়েছেন অংশুমান গায়কোয়াড়। ১৯৯৭ সালে প্রথম বার ভারতীয় দলের কোচ হয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সাল পর্যন্ত কোচের দায়িত্ব সামলেছেন গায়কোয়াড়। তাঁর কোচিংয়ে ভারত ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্সআপ হয়। ভারতীয় দল শারজায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাঁর কোচিংয়ে। তাঁর সময়েই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফিরোজ শাহ কোটলায় এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। সেই সময় ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট। ঠান্ডা মাথায় দল চালাতেন অংশুমান।