শুভব্রত মুখার্জি:- কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের এনসিএ অর্থাৎ ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাদেমি একটি ইতিমধ্যেই রয়েছে। দ্বিতীয় এনসিএর কাজ অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে।কি অবস্থায় আছে তা? কতদূর এগোল কাজ?কি কি সুবিধা রয়েছে ও নতুন এনসিএতে? এই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে একটা উৎসুক্য রয়েইছে বরাবর।এবার সেই বিষয়ে অনেকটাই আলোকপাত করেছেন বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ। একটি টুইট করে তিনি জানিয়েছেন দ্বিতীয় এনসিএর কাজ প্রায় শেষের পথে। যেখানে নাকি ইন্ডোর ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে রয়েছে অলিম্পিক গেমসের মতন বিরাট আকারের সুইমিং পুল! আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতভাবে।
নতুন এনসিএতে কি নেই? একাধিক ক্রিকেট মাঠ থেকে ইন্ডোর পিচ সবকিছুর বন্দোবস্ত এখানে করছে বিসিসিআই। এই স্টেট অফ দ্য আর্ট ফ্যাসিলিটির কাজ শীঘ্রই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জয় শাহ স্বয়ং। এরপরেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্যবহার করার জন্য খুলে দেওয়া হবে এই নয়া এনসিএ। নয়া এনসিএতে রয়েছে ৪৫ টি অনুশীলনের জন্য পিচ। থাকছে তিনটি বিশ্বমানের ক্রিকেট খেলার মাঠ। থাকছে ইন্ডোর পিচ,যাতে বাইরে বৃষ্টি হলে ভিতরে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করতে পারেন। রয়েছে অলিম্পিক গেমসের ব্যবহৃত সুইমিং পুলের আকৃতির সুইমিং পুল। অনুশীলনের জন্য বিশ্বমানের ব্যবস্থা। স্পোর্টস সায়েন্সের সুবিধা। পাশাপাশি থাকছে চোট থেকে সেরে ওঠার ও রিহ্যাবের বিশ্বমানের সুবিধা।
বর্তমানে দেশে একটিই এনসিএ রয়েছে। সেই এনসিএর প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ। ক্রিকেটাররা চোট ,আঘাত পেলে অথবা তাদের খেলাতে কোন টেকনিক্যাল সমস্যা হলে তাঁরা এনসিএতে আসেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত মেনে চলে রিহ্যাব, অনুশীলন।
ভারতে এই মুহূর্তে আইপিএল চালু হওয়ার পরবর্তীতে ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ক্রিকেটারদের সংখ্যা বেড়েছে,তেমনি চোট আঘাতের সংখ্যাও বেড়েছে ফলে নতুন একটা এনসিএর মতন ফ্যাসিলিটির প্রয়োজন বাড়ছিল।সেই কারণেই জয় শাহর নেতৃত্বাধীন বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জয় শাহ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন খুব দ্রুত এই দ্বিতীয় এনসিএটির কাজ ও শেষ হয়ে যাবে।তারপরেই সেখানকার ফ্যাসিলিটি ক্রিকেটাররা ব্যবহার করতে পারবেন।