দলীপ ট্রফিতে এবারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ইন্ডিয়া এ দল। এবারের দলীপ ট্রফিতে দেশের প্রায় সমস্ত তারকারই খেলা বাধ্যতামুলক করে দিয়েছিল বিসিসিআই। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো কয়েকজন হাতে গোনা ক্রিকেটারকে খেলতে না হলেও বাকি যারা ছিলেন তাঁদের প্রায় সকলকেই খেলতে হয়েছিল দলীপ ট্রফিতে। ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুল, যশস্বী জয়সওয়াল, সরফরাজ খান থেকে আকাশদীপরা এবারের দলীপে খেলে ভারতীয় দলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন-নামেই সবচেয়ে বড়লোক বোর্ড… পরিকাঠামোয় বিগ জিরো! কানপুরের মাঠ নিয়ে তোপ ভক্তদের...
এবারের দলীপ ট্রফির ফরম্যাট অবশ্য মনে ধরেনি বেশ কয়য়েকটি রাজ্য সংস্থার। তাঁরা বিসিসিআইয়ের কাছে তাঁদের অসন্তোষের কথাই জানিয়েছেন। আগের যে ফরম্যাট ছিল জোনাল ম্যাচ অর্থাৎ আঞ্চলিক ভিত্তিতে দল গঠনের পক্ষেই সওয়াল করেছেন তাঁরা। এরপর বিসিসিআইও তাঁদের দাবি মতোই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন-IPL 2025-ঝামেলার পরও MIতেই থাকছেন রোহিত! CSKতে ধোনি! KKR-এ কারা? একঝলকে সম্ভাব্য রিটেনশন…
এরপর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গত বছর পর্যন্ত যে ফরম্যাটে দলীপ ট্রফি হয়েছে, সেরকমভাবেই খেলা হবে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি রাজ্য সংস্থা প্রশ্ন তুলেছিল, এমন কয়েকজন ক্রিকেটাররা রয়েছেন যারা যোগ্য হয়েও সুযোগ পাননি। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে যাতে নিরপেক্ষ সুযোগ দেওয়া হয়, সেই জন্যই আবেদন করেন। এরপরই বিসিসিআই তাঁদের আবেদন মেনে নেয়। এর ফলে আগামী বছর থেকে ক্রিকেটার নির্বাচনের বিষয়টিও আঞ্চলিক জোনের নির্বাচকরাই দেখবেন।
এছাড়াও বিসিসিআইয়ের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে জানানো হয় ১৯২৮ সালে সোসাইটি আইনের তত্বাবোধানে থাকা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিজের সোসাইটি আখ্যাই বজায় রাখবে। এক্ষেত্রে জানা গেছে, অভিষেক ডালমিয়া এই প্রস্তাব এনেছিলেন যাতে বোর্ডের সোসাইটি তকমা বজায় থাকে। সেটিই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিসিআইয়ের এজিএমে প্রথমে কথা ছিল আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনা করবে, যদিও সেই আলোচনা সম্ভবত হয়নি বিসিসিআইতে। এতদিন জয় শাহ আইসিসিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করলেও তিনি ১ ডিসেম্বরের পর আইসিসি চেয়ারম্যান পদে বসার পর সেই জায়গায় অন্য কাউকে আনা হবে। আইপিএলের গভার্নিং কাউন্সিলে এলেন অভিষেক ডালমিয়া এবং অরূণ ধুমল। ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের অডিট রিপোর্ট পাশ হয় এদিনের বার্ষিক সাধারণ সভায়। আগামী তিন বছরের আইপিএল নিয়ে নীতি নির্ধারন এবং বাজেট নির্ধারণ করা হয়। এনসিএতে ভালো কাজের জন্য কর্তাদের প্রশংসা করা হয় বিসিসিআইয়ের সাধারণ সভায়।