কতজন খেলোয়াড়কে রিটেন করা যাবে? 'রাইট টু ম্যাচ' (আরটিএম) কার্ড থাকবে? মেগা নিলামের আগে সেইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ৩১ জুলাই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সূত্র উদ্ধৃত করে ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে আগের থেকে রিটেনড খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়িয়ে পাঁচ বা ছয় করা হতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সেই বৈঠকেই। তারইমধ্যে আরটিএম কার্ড ফিরিয়ে আনা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে আইপিএলের মালিকদের কাছে আইপিএলের সিইও হেমাঙ্গ আমিনের মেসেজ গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন যে ৩১ জুলাই বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক হবে। সব দলের মালিকরাই সেদিন বৈঠক থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কোথায় বৈঠক হবে এবং কখন বৈঠক শুরু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে সেইসব তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
৫-৬ জনকে রিটেন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মেগা নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি কতজন খেলোয়াড়কে রিটেন করতে পারবে, সেই সংখ্যাটা নিয়ে বিভিন্ন মত উঠে আসছিল। কেউ-কেউ একজনকে রিটেন করে রাখার পক্ষে ছিলেন। কেউ-কেউ আবার রিটেনড খেলোয়াড়ের সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে একেবারে আট করার পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন। তবে বিসিসিআই শেষপর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয়জন খেলোয়াড়কে রিটেন করার অনুমতি দিতে পারে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
কেন ৮ জনকে রিটেন করার অনুমতি দেওয়া হবে না?
যদি প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আটজন খেলোয়াড়কে রিটেন করে, তাহলে নিলামে নাম থাকবে না ৮০ জনের। যে ৮০ জন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ই হবেন। সেই পরিস্থিতিতে আইপিএলের মেগা নিলামের জৌলুস কমে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই কারণেই রিটেনড খেলোয়াড়ের সংখ্যা মাঝামাঝি একটা জায়গায় রেখে দিতে চাইছে বিসিসিআই।
RTM কার্ড কি ফিরবে?
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, আরটিএম কার্ড ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা করা হতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআই সম্ভবত ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। যে আরটিএম কার্ড ২০২১ সালের মেগা নিলামে ছিল না।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপ জিততে কপাল লাগে, পিচে কেরামতি নয়’! কাইফের দাবি উড়িয়ে মন্তব্য বিক্রমের
রিপোর্ট অনুযায়ী, যাঁরা আরটিএম কার্ড ফিরিয়ে আনতে চাইছেন, তাঁদের যুক্তি হল যে সেই নিয়মের ফলে খেলোয়াড়রা উপযুক্ত দাম পাবেন। আবার অপর অংশের যুক্তি হচ্ছে যে আরটিএম কার্ডের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও খেলোয়াড়ের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি, যাতে অপর ফ্র্যাঞ্চাইজিয়ে হাতে টাকার পরিমাণ কমে যায়।
আরও পড়ুন: ৯ মাস ঘোরার মতো সময় নেই, তাই ভারতের কোচ হতে চাননি! অবস্থান স্পষ্ট করলেন আশিস নেহরা