শুভব্রত মুখার্জি: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের হাত ধরে ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের চেহারাটাই একেবারে বদলে গিয়েছে। শুধুমাত্র যে ক্রিকেটাররা এই টু্র্নামেন্টের হাত ধরে লাভবান হয়েছেন তা নয়। লাভবান হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। লাভবান বললে হয়তো খুব কম বলা হয়ে যায়।২০২২ সালের আইপিএল থেকে ভারতীয় বোর্ডের যে আয় সামনে এসেছে তা দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। বিসিসিআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের আইপিএল থেকে ভারতীয় বোর্ডের আয় হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার!
সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের তরফে তাদের আর্থিক বিষয়ক একটি ডকুমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে উঠে এসেছে এই তথ্য। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যে আইপিএল করে বিপুল অর্থ রোজগার করছে তা প্রায় কারোর অজানা নয়। আইসিসির আয়ের শেয়ারের বন্টনের মধ্যে দিয়ে যে ছবি উঠে এসেছে তাতে একটা বিষয় আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল অর্থনৈতিক দিক বিচার করলে বিসিসিআই এই মুহূর্তে বাকি ক্রিকেট বোর্ডগুলোর ধরাছোঁয়ার বাইরে। যার অন্যতম কারণ আইপিএলের মতন ইভেন্ট থেকে তাদের বিপুল আয়।
২০০৮ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল এই লিগ। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের হাত ধরেই সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে উঠে আসা একাধিক ক্রিকেটার এখন কোটিপতি। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ রিঙ্কু সিং। আইপিএলের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই কার্যত সারা বিশ্বের ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোতে শুরু হয়েছে এই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এই মুহূর্তে এই লিগগুলোর প্রভাব এতটাই যে অনেক ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অকালে অবসর নিচ্ছেন এই লিগগুলো খেলে টাকা কামানোর আশায়। বিসিসিআইয়ের আর্থিক রেকর্ড অনুযায়ী ২০২২ সালের আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় হয়েছে ৭৭১ মিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বিসিসিআই ব্যয় করেছে ৪৭৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বিসিসিআইয়ের সবকিছুর পরে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে প্রায় ২৯২ মিলিয়ন ডলার।