এক ম্যাচের মধ্যেই কামব্যাক করল বাংলা ক্রিকেট দল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে গত ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে গেছিল বাংলা দল। রজত পতিদার, বেঙ্কটেশ আইয়ারদের দলের বিরুদ্ধে বাংলার বোলাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। শামি খেললেও সেই ম্যাচে উইকেট পাননি। ১৯০ রানের টার্গেটেও হেলায় পৌঁছে গেছিল মধ্যপ্রদেশ।
আরও পড়ুন -তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন…
মেঘালয়কে হারাল বাংলা দল-
সৈয়দ মুস্তার আলি ট্রফির পঞ্চম ম্যাচেই অবশ্য ঘুরে দাঁড়াল বাংলা দল। আগেই জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছিল সুদীপ ঘরামিদের বাংলা। মাঝে মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের হার ভুলে ফের মেঘালয়ের বিরুদ্ধে জয়ের সরণীতে ফিরল বাংলা শিবির। এই ম্যাচে নজর কাড়লেন দিল্লি ক্যাপিটালসের উইকেটরক্ষক ব্যাটার অভিষেক পোড়েল। তাঁর ব্যাটিং ঝড়েই উড়ে গেল মেঘালয়।
বাংলার বোলারদের দাপট-
ম্যাচে বাংলার বোলাররা জয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন বাংলার জন্য। মাত্র ১২৭ রান মেঘালয় দল তোলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়। সায়ন ঘোষ এবং প্রয়াস রায় বর্মণ দুটি করে উইকেট নেন। ঋত্বিক চ্যাটার্জি নেন ১ উইকেট। মেঘালয়ের লারি সাংমা ২১ বলে ৩৮ রান করেন। এই রান রান তাড়া করতে যে টি২০তে বাংলার কোনও অসুবিধা হবে না, সেটাই মনে করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ওপেনারদের তাণ্ডব-
ওপেনারদের সৌজন্যে অসুবিধা তেমন হল না বাংলা দলের ম্যাচ থেকে জয় তুলতে। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা কিন্তু চিন্তায় রাখবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। করণ লাল ব্যাট করতে নেমে ৬টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে ৪২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে দেন। আরেক ওপেনার অভিষেক পোড়েল ৩১ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। মারলেন ৯টি চার ও দুটি ছয়। ঋত্বিক চ্যাটার্জি করলেন ১৮ বলে ২৫ রান। মূলত ওপেনারদের তাণ্ডবেই ১১.৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা দল। এই মূহূর্তে গ্রুপ টেবিলে ৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে বাংলা দল।
বাংলার দুই চিন্তা-
তবে বাংলা দলের মুল চিন্তার কারণ দুটো রইল। প্রথমত মিডল অর্ডারে শাকির গান্ধি, রনজ্যোৎ সিং খাইরা এবং সুদীপ ঘরামি, এই তিন ব্যাটারই আউট হলেন মাত্র ০ রানে। মেঘালয়ের মতো দলের বিরুদ্ধে মাত্র ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে তিনটে ডাক মোটেই কাম্য নয়। দ্বিতীয় চিন্তার কারণ অবশ্যই শামির উইকেট না পাওয়া। মধ্যপ্রদেশ ম্যাচে তিনি বড্ড বেশি রান দিয়েছিলেন, উইকেটও পাননি। এই ম্যাচে রানে রাশ টানলেও, ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একটি উইকেটও পেলেন না ভারতীয় এই পেসার।