রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দলের জার্সিতে প্রত্যাবর্তনেই নজর কাড়লেন সুদীপ চ্যাটার্জি। বেশ কয়েক বছর আগেই তিনি চলে গেছিলেন পাশের রাজ্য ত্রিপুরায়। সিএবির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিতে চলে যান তিনি। কিন্তু চলতি বছরই সব মান অভিমান পর্ব মিটিয়ে ফের বাংলা দলের প্রত্যাবর্তন হয় এই টপ অর্ডার ব্যাটারের, আর এসেই তিনি স্বমহিমায় ফিরে দেখিয়ে দিলেন এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি।
আরও পড়ুন-‘আমাদের ভালোবাসার টেনিসকে তুমি গর্বিত করেছ,’ রাফার অবসরে আবেগঘন বার্তা ফেডেরারের…
রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী উত্তরপ্রদেশের মুখোমুখি হয়েছে বাংলা ক্রিকেট দল। গতবার রঞ্জিতে বাংলার পারফরমেনস একদম ভালো ছিল না। এবারেও সেই চিত্র বদলালো না। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় শতরান করলেন। টপ অর্ডারে সুদীপ ঘরামিও করলেন ৯০ রান। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটাররা তেমনভাবে নজর কাড়তে ব্যর্থ হলেন। আর তাতেই চাপে পড়ে গেল বাংলা।
অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে ওপেনিং করতে নেমে ২২৭ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ চ্যাটার্জি। মারেন ৯টি চার এবং একটি ছয়। ১৬১ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামিও। মারেন ১১টি চার এবং ১টি ছয়। তবে এই দুজন ছাড়া বাকি টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার ব্যাটাররা তেমন দাগ কাড়তে পারলেন না।
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গল-মহমেডানের পয়েন্ট কাটাকাটি! অথচ বৈঠকে ডাকা হল DHFCকে! আজব কাণ্ড IFAতে…
অলরাউন্ডা শাহবাজ আহমেদ শেষ দিকে লড়ছেন। তিনি ৩৮ বলে ২৬ রান করে উইকেটে অপরাজিত রয়েছেন। প্রথম দিনের শেষে বাংলা দলের স্কোর ৭ উইকেটে ২৬৯। অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার করেন মাত্রা ১ রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত ফর্মের মধ্যে থাকা ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ করেন মাত্র ৫ রান। ঋদ্ধিমান সাহা রানের খাতাই খুলতে পারলেন না, দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলা অভিষেক পোড়েলও তেমন রান পেলেন না, করলেন মাত্র ২।
আরও পড়ুন-প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ করেও ইনিংস ও ৪৭ রানে হার! নিজেদের পুরনো লজ্জার রেকর্ড ভাঙল পাকিস্তান দল…
উত্তরপ্রদেশ বেশ শক্তিশালী দল। রিঙ্কু সিং না থাকলেও, প্রিয়ম গর্গ, নীতীশ রান, যশ দয়ালের মতো খেলোয়াড়রা রয়েছে। ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলতে গেলে শেষ তিন উইকেটে বাংলাকে কমপক্ষে ৩৫০-র গণ্ডি টপকাতে হবে। নাহলে বাংলার বোলাররা লড়াইয়ের মতো জমিও পাবেন না, তা বলাই যায়।