অভিজ্ঞতার কাছেই ম্যাচ হেরে গেল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও হেরে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। একটা সময় মনে হচ্ছিল মোহনবাগান ক্লাবকে হয়ত সুবিধা করে দেবে সাদা কালো শিবির। কিন্তু সেটা আর করতে পারল না মহমেডান। শেষ পর্যন্ত হোম ম্যাচে ১-২ গোলে হেরে গেল গোমেজ-মানজোকিরা।
আরও পড়ুন-কখনও ফিল্ডিং সাজালেন! কখনও বাচ্চাদের মতো আনন্দ করলেন! পার্থে বিন্দাস মেজাজে বিরাট
৮ মিনিটে প্রথম গোল মানজোকির-
ম্যাচের ৮ মিনিটেই আফ্রিকান স্ট্রাইকার মানজোকির গোলে এগিয়ে গেছিল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান মানজোকি। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে বেঙ্গালুরুর গোলে একাধিক আক্রমণ করে মহমেডান স্পোর্টিং ফুটবলাররা। ফ্রানকাও আক্রমণ চালাচ্ছিলেন। তবে অ্যালেক্সিস গোমেজকে মাঠে নামাননি কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ।
আরও পড়ুন-ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জট কাটাতে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক! সেদিন ঘোষণা হতে পারে ভেনু
পিছিয়ে পড়ে চাপ বাড়ায় বেঙ্গালুরু-
পিছিয়ে পড়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। তবে বেশ খানিকটা সময় নেয় তাঁরা ফিরে আসছে। দ্বিতীয়ার্ধে প্ল্যান সি কাজে লাগান তাঁরা। অর্থাৎ বাধ্য হয়েই রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে ছেত্রীকে নামান বেঙ্গালুরুর কোচ। এরপর মানজোকি বেঙ্গালুরুর ফুটবলার লুইস পেদ্রোকে কর্নারের সময় ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু এফসি। এরপরই গ্যালারিতে বিক্ষোভ দেখান সমর্থকরা। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সুপার সাব সুনীল ছেত্রী।
Video- বিরাট কোহলির ছয়! সপাটে আঘাত নিরাপত্তারক্ষীর মাথায়! দৌড়ে গেলেন লিয়ন! দেখে যা করলেন কোহলি…
সুনীল ম্যাজিক কিশোর ভারতীতে-
মহমেডানের অ্যালেক্সিস গোমেজ মাঠে নেমে পরপর শট নিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু গোলকে লক্ষ্য করে, কিন্তু গোলরক্ষক গুরপ্রীত তা সেভ দিয়ে দেন। এরপর দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও সেই ছোঁয়া ছিল সুনীল ছেত্রীর। একটা ক্রস থেকে ভালো কানেকশন হতেই তা মহমেডানের ফরাসি ডিফেন্ডার ওজিয়েরের মাথায় লেগে গোলে ঢুকে যায়, যা সাদা কালো সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেয়।
শেষ গোল হল ৯৯ মিনিটে-
ম্যাচে বেঙ্গালুরুর শেষ গোলটি হল ৯৯ মিনিটে। এর আগেই খেলা শেষ হয়ে যেতে পারত, যদি মহমেডান সমর্থকরা সংযত হয়ে বসতে পারতেন। তাঁরা অযথা মাঠে বোতল ছুঁড়ে অশান্তি পাকিয়ে ফুটবলারদের ফোকাসটাই নষ্ট করে দিলেন। নাহলে লিগের এক নম্বর দলের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত সাদা কালো শিবির। জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট রইল বেঙ্গালুরুর দখলে, মোহনবাগান রইল ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্টে। আর ৮ ম্যাচে মহমডোন পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে রইল লিগ টেবিলের দ্বাদশ স্থানে।