শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রঞ্জি ট্রফির এবারের মরশুম। গত মরশুমেও যে তিমিরে পড়েছিল বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, এই বছরেও সেই একই পরিস্থিতিতেই রইল বিহার ক্রিকেট। রঞ্জি ট্রফি শুরুর মাত্র ২ দিন আগে ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করল তাঁদের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা, যা দেখে কার্যত মাথায় হাত খেলোয়াড়-কোচিং স্টাফদের।
পাটনা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ…
ঝাড়খন্ড,বিহার থেকে ভারতীয় দলে খেলতে আসা ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। যেখানে ঝাড়খণ্ড দল এত নিয়ম মাফিক নিজেদের দল পরিচালনা করতে পারে,সেখানে বারবার ঘরোয়া কোন্দলে জর্জরিত অবস্থা হয়ে যাচ্ছে বিহার দলের। প্রাক্তন সচিবের সঙ্গে সভাপতির লড়াইয়ে মঙ্গলবার পাটনা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর অবশেষে দল নির্বাচন করা হল রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচের।
আরও পড়ুন-‘তোমাদের ভালোবাসার দাম দেব’! দায়িত্ব নিয়েই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বললেন নতুন কোচ অস্কার…
৫ অগাস্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ…
অগাস্টের ৫ তারিখ পাটনা হাইকোর্ট বিহার ক্রিকেট সংস্থার অম্বুডসম্যান হিসেবে বিচারপতি শৈলেশ কুমার সিংহকে নিয়োগ করে। এছাড়াও সচিব পদে ফেরানো হয় অমিত কুমারকে। সভাপতি রাকেশ তিওয়ারি তাঁকে সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তিনি আদালতে গেছিলেন। তবে মঙ্গলবার পাটনা হাইকোর্টে নিজেদের আগের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল। প্রসঙ্গত দল থেকে বাদ পড়েছেন তারকা ব্যাটার বৈভব সূর্যবংশী।
আরও পড়ুন-যুদ্ধের আবহে ইরানে খেলতে না যাওয়ার শাস্তি! ACL-2 থেকে ছেঁটে ফেলা হল মোহনবাগানকে…
চলতি বছরের শুরুতেই তৈরি হয় বিতর্ক…
পাটনা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় অগাস্টের ৫ তারিখের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। ফলে অমিত কুমার আর সচিব পদে রইলেন না, তেমনই অম্বুডসম্যান পদটিও উঠে গেল। এরপরই হরিয়ানার বিপক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের দল ঘোষণা করে রাকেশ তিওয়ারির পছন্দের নির্বাচক কমিটি। এর আগে অমিত কুমারের ঘনিষ্ঠ জিশান উল ইয়াকিনকে নির্বাচক কমিটির প্রধান করা হয়েছিল। তবে তাঁর দল না নিয়ে, মধুসূদন তন্তুবাইয়ের বেছে দেওয়া দল খেলবে হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রথম রঞ্জি ম্যাচে। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে দেখা গেছিল, রাকেশ তিওয়ারি এবং অমিত কুমারের বেছে দেওয়া দুটি আলাদা দল রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে মুম্বই পৌঁছে গেছিল।
অমিত কুমার এই সিদ্ধান্তের পর জানিয়েছেন, ‘আমি আদালতের রায়কে সম্মান করি। তবে আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব, যদি ও রাজি থাকে তাহলে আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব’। নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন প্রধান জিশান বলছেন, ‘কার দল বাছা হয়েছে, তার থেকেও বড় কথা ক্রিকেটাররা এতদিন যে ধর্মসংকটে পড়েছিলেন ক্রিকেট খেলা নিয়ে, সেই সমস্যা অন্তত তাঁদের কাটল। আমার বেছে নেওয়ার ক্রিকেটাররাও এই তালিকায় রয়েছে। আমি কোনও গ্রুপেই নেই, আমার কাজ বিহার ক্রিকেটের উন্নতি করা’।