অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্টে ১০ উইকেটে পরাজিত হয়েছে ভারত। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও সেরকম দাগ কাটতে পারেনি মহম্মদ সিরাজ, হর্ষিত রানারা। সিরাজ তাও কিছুটা ভালো বোলিং করেছেন। কিন্তু হর্ষিত একেবারেই ছন্দ পাননি। বুমরাহ প্রাথমিকভাবে পিঙ্ক বলে লাইন-লেংথ নিয়ে সমস্যায় পড়লেও পরে নিজেকে সামলে নেন। কিন্তু তিনি একদিক থেকে ভালো বোলিং করলেও অপরদিক থেকে সেই চাপটা ধরে রাখা যাচ্ছিল না। আর সেটা নিয়েই মুখ খুললেন রোহিত।
রবিবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত বলেন, ‘সব দায়িত্ব জসপ্রীত বুমরাহ একা নিতে পারে না। ও দুই এন্ড থেকে বল করবে আপনি সেটা নিশ্চয়ই আশা করতে পারেন না। তাই দলের বাকি সদস্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে। এরকমও দিন আসবে যখন বুমরাহ উইকেট পাবে না, তখন তাহলে কী হবে!’
উল্লেখ্য, এর আগে পার্থে রোহিতের জায়গায় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেখানেও প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অল-আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। দুরন্ত বোলিং করে ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন জসপ্রীত বুমরাহ। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বুমরাহ।
সেই জয়ের পরে অ্যাডিলেডে ব্যাট করতে নেমে মিচেল স্টার্কের আগুন বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৮০ রানে অল-আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। পাল্টা ব্যাটিং করতে নেমে ৩৩৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ১৬ ওভার বল করে একটিও উইকেট নিতে ব্যর্থ হন হর্ষিত রানা। চার উইকেট নিলেও অনেক রান দিয়ে দেন সিরাজ। ১টি করে উইকেট পান অশ্বিন এবং নীতীশ কুমার রেড্ডি। একমাত্র ভালো বোলিং করেন বুমরাহ, ২৩ ওভার বল করে ৬১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি।
অ্যাডিলেডে শুধু বোলাররা নয়, ব্যাট হাতে ব্যর্থ রোহিত-বিরাটরাও। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। জয়ের জন্য মাত্র ১৯ রানের প্রয়োজন ছিল অজিদের, যা অনায়াসে করে ফেলে তারা। এনিয়ে টানা ৪ টেস্টে পরাজয়ের মুখ দেখলেন রোহিত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছতে গেলে ভারতকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বড় ব্যবধানে জয় পেতেই হবে। অ্যাডিলেডে হেরে WTC-এর পয়েন্ট টেবিলে ১ নম্বর থেকে নেমে ৩ নম্বরে চলে গেছে টিম ইন্ডিয়া। পয়লা নম্বরে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ২ নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।