জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনি টেস্টের সময় পিঠে ব্যথা অনুভব করেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেই থেকেই মাঠের বাইরে রয়েছেন জসপ্রীত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক স্কোয়াডে নাম রয়েছে সুপারস্টার পেসারের। তবে তিনি শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাঠে নামতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই বুমরাহর ফিটনেস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট মিলল।
বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির নেটে বোলিং শুরু করেছেন বুমরাহ, এমনটাই খবর৷ বিসিসিআইয়ের ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নেটে ধীরে ধীরে নিজের বোলিং ওয়ার্কলোড বাড়াচ্ছেন জসপ্রীত৷
জাতীয় নির্বাচকদের কাছে এই মুহূর্তে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জসপ্রীতকে দরকার ভারতীয় দলের। আবার তারকা পেসারের দীর্ঘমেয়াদী ফিটনেস রক্ষা করাও জরুরি। সবকিছু বিবেচনায় রেখে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফিটনেসের পরীক্ষা না দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চূড়ান্ত দলে বুমরাহকে রাখা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছে ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যেই। তার পরেও অবশ্য কোনও ক্রিকেটারের বদলি নেওয়া যায়। তবে তার জন্য আইসিসির টেকনিক্যাল টিমের অনুমতি নিতে হবে।
বেঙ্গালুরুতে পিঠে স্ক্যান করানোর পরে বোলিং শুরু করেছেন বুমরাহ। তিনি ধীরে ধীরে তার বোলিং ওয়ার্কলোড বাড়িয়ে চলেছেন। প্রাথমিকভাবে দুই ওভার বোলিং করেছেন, তারপরে তিন এবং এখন চার ওভার। তিনি শেষমেশ পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দল দুবাই রওনা হওয়ার আগে বেঙ্গালুরুতেই একটি অনুশীলন ম্যাচে পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে জসপ্রীত কতটা ফিট।
অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নির্বাচক কমিটি যখন বুমরাহকে প্রাথমিক দলে জায়গা করে দেয়, তখন প্রধান নির্বাচক জানান যে, স্পিডস্টারকে পাঁচ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে বলা হয়েছিল। সেই কারণেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি ওয়ান ডে ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে না। বুধবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচেও যে বুমরাহ খেলতে পারবেন না, তা এখন প্রায় নিশ্চিত। কেননা বিসিসিআই পরবর্তী সময়ে স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নেয় জসপ্রীতকে।
বুমরাহ যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর দিকটা মিস করেন, তাহলেও তাঁকে দলে রাখা নজিরবিহীন হবে না। ভাঙা হাত থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ট্র্যাভিস হেডকে দলে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। বাঁ-হাতি ওপেনার প্রথম তিনটি ম্যাচ মিস করার পরে টুর্নামেন্টে প্রবেশ করেছিলেন এবং ফাইনাল-সহ অস্ট্রেলিয়ার জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
যদিও বুমরাহ একজন ফাস্ট বোলার। পুরোপুরি ফিট না হয়ে চোটপ্রবণ পিঠ নিয়ে মাঠে নেমে পড়া ঝুঁকির হবে নিশ্চিত। সুতরাং, জাতীয় নির্বাচকদের ভেবে-চিন্তে পা ফেলতে হবে। মঙ্গলবার ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, আগরকর এবং বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিমের মধ্যে নতুন করে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি শেষমেশ ভারতীয় দল বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে না চায়, তাহলে হর্ষিত রানাকে জায়গা করে দেওয়া হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে।