কড়া হাতেই ক্রিকেটারদের সামাল দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগেই জানিয়ে দিয়েছিল দশ দফা নির্দেশিকা,যার মধ্যে ক্রিকেটারদের অধিকাংশ অপছন্দের নির্দেশ ছিল ।
বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে সিনিয়র জুনিয়র অধিকাংশ ক্রিকেটারদের খারাপ পারফরমেন্সের পর বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বোধের একটা সিস্টেম তৈরি করতে। আর সেটাই বিসিসিআই সমস্ত রাজ্য সংস্থাকে বলে দেয়। এবার বোর্ডের আওতায় থাকা রাজ্য সংস্থারাও কাজ শুরু করে দিল সেই নির্দেশিকা মেমে।
জানা যাচ্ছে বাংলার রাজ্য সংস্থা সিএবিকে ইতিমধ্যেই বিসিসিআই যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করা শুরু করে দিয়েছে তারা। সভাপতি স্নেহাশিষ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন সমস্ত ক্রিকেটারের জন্যই একটি টিম বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অর্থাৎ বিসিসিআই যেকথা জানিয়েছিল সিনিয়র জুনিয়র সমস্ত ক্রিকেটারকে একসঙ্গে যাতায়াত করতে হবে অর্থাৎ দলের মধ্যে কোনরকম তারকাসুলভ ফ্যাসিলিটি ক্রিকেটাররা পাবেন না, সেই অনুযায়ী সিএবিও কোন ক্রিকেটারের জন্য আলাদা করে হোটেল বা গাড়ি বুক করলেন না । পরের ম্যাচেই বাংলা দলের প্রতিপক্ষ রঞ্জিত ট্রফিতে হরিয়ানা দল । সেই ম্যাচ হবে কল্যাণীতে, আর সেখানে খেলতেই ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেটার সকলেই যাবেন একসঙ্গে একই টিম বাসে যাতে দলের মধ্যে ঐক্যতা তৈরি হয়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সিএবি সভাপতি স্নেহাশীস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন বোর্ডের যে নির্দেশিকা তাদের কাছে এসেছে ইতিমধ্যেই তারা সেইটা মেনে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। যার প্রথম ধাপ অবশ্যই ব্যবস্থা বন্ধ করা। এটি যেহেতু বোর্ডের লাগু করা নিয়ম তাই তাদের মেনে চলতে হবে।
এদিকে ইডেনেও দেখা যায় গৌতম গম্ভীর তার দলের সদস্যদের নিয়ে টিম বাসে করেই মাঠে আসেন। ভারতীয় দলের ইডেন প্র্যাকটিসের আগে যখন খেলোয়াড়রা স্টেডিয়ামে ঢুকলেন তখন সবার আগেই ছিলেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ায় অভিযোগ উঠেছিল দুই ক্রিকেটার তাদের পরিবার নিয়ে আলাদাভাবে অনুশীলনে আসতেন। এমন চিত্র দেখতে পাওয়া যেত, ক্রিকেটাররা অতীতে ইডেন বা অন্যান্য মাঠে নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে আসতেন। তবে বিসিসিআইয়ের এই নির্দেশিকার পর তা পুরো ফুলস্টপ হয়ে গেল বলাই যায়।