সুনীল গাভাসকর শেষবার ভারতের হয়ে মাঠে নামেন প্রায় চার দশক আগে। তবে এখনও ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলে সমান জনপ্রিয় সানি। আসলে তিনি খেলা ছাড়লেও ক্রিকেটের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে গাভাসকরের খ্যাতি বিস্তর।
এহেন গাভাসকরের জনপ্রীয়তা কতটা, সেটা আরও একবার বোঝা গেল পুণেতে। মিড ডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টি-২০ ম্যাচের সময় কমেন্ট্রি বক্সের সামনে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী গাভাসকরের সঙ্গে ছবি তোলার অবদার জানান। তবে সানির প্রাথমিক ব্যবহারে মন ভেঙে যাওয়াই স্বাভাবিক সেই পুলিশকর্মীর।
যদিও গাভাসকর কতটা মজাদার চরিত্র, সেটা বোঝা যায় পরক্ষণেই। মুখের উপর না বলেও সানি ঠিক তার পরেই মন জিতে নেন অনুরাগীর। সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মী গাভাসকরকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তাঁর সঙ্গে একটি ছবি তুলতে পারেন কিনা। গাভাসকর এককথায় জবাব দেন, 'না'।
তবে সেটা যে আসল কথা ছিল না, বোঝা যায় তার পরেই। সানি পরক্ষণেই বলেন, ‘আপনি একটি ছবি তুলতে পারেন না। আমার সঙ্গে ২টি বা তিনটি ছবি তুলতেই পারেন। একটি ছবিতে কী হবে!’ গাভাসকরের এই কথা নিশ্চিতভাবেই খুশি করে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীকে।
টিম ইন্ডিয়ার উপর রেগে লাল গাভাসকর
গাভাসকর অবশ্য পুণের চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে শিবম দুবের কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে ভারতীয় শিবির হর্ষিত রানাকে মাঠে নামানোয় মোটেও খুশি নন। তাঁর দাবি, রানা কখনই দুবের লাইক-টু-লাইক পরিবর্ত হতে পারেন না। তাই এভাবে ম্যাচ জেতা খেলাটাকে কলঙ্কিত করার সমান।
টেলিগ্রাফের কলামে গাভাসকর লেখেন, ‘পুণেতে দুবের হেলমেটে বল লাগার পরেও ও শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে। সুতরাং, এক্ষেত্রে কনকাশনের কোনও প্রসঙ্গই ছিল না। তাই কনকাশন পরিবর্তের অনুমতি দেওয়াটাই ঠিক নয়। ব্যাটারদের পেশিতে টান লাগলেও পরিবর্ত খেলোয়াড়ের অনুমতি দেওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে বদলি ক্রিকেটার শুধু ফিল্ডিং করতে পারে, বোলিং নয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জোর করে মিল খোঁজা হলেও রানাকে দুবের লাইক-টু-লাইক পরিবর্ত মেনে নেওয়া কঠিন। হ্যাঁ, এখন কেউ যদি বলে যে, ওরা দু’জনেই একই উচ্চতার এবং দু'জনের ফিল্ডিংই একই মানের, তাহলে মেনে নেওয়া যায়। এছাড়া ওদের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইংল্যান্ডের প্রতারিত হয়েছে মনে করা স্বাভাবিক। ভারতের এই দলটা অসাধারণ। ম্যাচ জিততে এমন কাজ করার কোনও দরকার নেই।'