পাকিস্তানের কাছে গোহারান হেরে বিশ্বকাপের টিকিট অনিশ্চিত করল বাংলাদেশ, ক্যারিবিয়ানদের বড় জয় মানে…

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি থাইল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয়, তবে বিশ্বকাপে মাঠে নামা হবে না নিগার সুলতানাদের।

দরকারের সময় ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতা দিতে পারলেন না ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা। ফলে পাকিস্তানের কাছে কার্যত গোহারান হেরে বিশ্বকাপের টিকিট অনিশ্চিত করে তুলল বাংলাদেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি থাইল্যান্ডকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেয়, তবে এবার বাড়িতে বসেই মেয়েদের বিশ্বকাপ দেখতে হবে বাংলাদেশের তারকাদের।

শনিবার লাহোরে ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আয়োজক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল। পাকিস্তান আগেই বিশ্বকাপের টিকিট পকেটে পুরেছে। এই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশও বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করত। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতুত বা হারুক, লড়াই থেকে ছিটকে যেতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

তবে বাংলাদেশ এদিন কার্যত একতরফাভাবে পরাজিত হয় পাকিস্তানের কাছে। বড় ব্যবধানে হেরে বসায় বাংলাদেশের নেট রান-রেটও কমে। সুতরাং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাজ তুলনায় সহজ হয়ে দাঁড়ায়।

শনিবার টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১৭৮ রান সংগ্রহ করে। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা। নিগার ৬ বলে ১ রান করে আউট হন। ৭৬ বলে ৪৮ রান করেন ঋতু মণি। তিনি ৫টি চার মারেন।

৫৩ বলে ৪৪ রান করে নট-আউট থাকেন ফহিমা খাতুন। তিনি ৪টি চার মারেন। ৪৭ বলে ২৪ রান করেন শর্মিন আক্তার। তিনিও ৪টি চার মারেন। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল। ৪৫ রানে ২টি উইকেট নেন ক্যাপ্টেন ফতিমা সানা।

গোহারান হার বাংলাদেশের

পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান মাত্র ৩৯.৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৬২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জতে পাকিস্তান। তারা লিগের ৫টি ম্যাচেই টানা জয় তুলে নেয়।

পাকিস্তানের হয়ে ৯৩ বলে ৬৯ রান করেন মুনিবা আলি। তিনি ৮টি চার মারেন। ৬৫ বলে ৫২ রান করে নট-আউট থাকেন আলিয়া রিয়াজ। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৫২ বলে ৩৩ রান করেন সিদরা আমিন। তিনি ৪টি চার মারেন। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মুনিবা আলি।