ভারত কি আদৌ পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেবে? এই নিয়ে চূড়ান্ত ডামাডোল চলছে। এর মধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দাবি করেছে, নিরাপত্তার কারণে ভারত যদি পাকিস্তানে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে না আসে, তবে বিসিসিআই যেন ভারত সরকারের অনুমতি প্রত্যাখ্যানের লিখিত প্রমাণ দেয়। এমনটাই জানিয়েছে, পিসিবি-র একটি সূত্র।
ফেব্রুয়ারী-মার্চে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজক বোর্ড বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে চায়। যদিও ১৯ জুলাই কলম্বোতে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবং তাতে ‘হাইব্রিড মডেল’ নিয়ে ভারত তাদের এজেন্ডায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে তাদের ম্যাচগুলি খেলার বিষয়টি উত্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: কতদিন খেলবেন ওডিআই ও টেস্ট? আমেরিকায় গিয়ে ঘোষণা করলেন রোহিত শর্মা!
আয়োজক কমিটির সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করা পিসিবি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘যদি ভারত সরকার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে, তবে এটি লিখিত ভাবে দিতে হবে এবং বিসিসিআই-কে সেই চিঠিটি আইসিসিকে জমা দেওয়াটা বাধ্যতামূলক।’ পিসিবি শীর্ষস্থানীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, ‘এটি ঠিক যে, আমরা জোর দিচ্ছি, যেন বিসিসিআই টুর্নামেন্টের অন্তত ৫-৬ মাস আগে লিখিত ভাবে পাকিস্তানে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পর্কে আইসিসিকে অবহিত করুক।’
আরও পড়ুন: স্বার্থপর, কখনও ভালো লিডার হতে পারবে না- যশস্বীর জন্য শুভমনকে তীব্র আক্রমণ নেটপাড়ার
বিসিসিআই বরাবরই বলে আসছে, পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলাটা পুরোপুরি ভাবে সরকারের হাতেষ এবং ভারত সরকারই এই বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। এমন কী ২০২৩ সালের ওডিআই এশিয়া কাপ, যা পিসিবি দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল, ভারত ‘হাইব্রিড মডেল’-এর উপর ভিত্তি করে শ্রীলঙ্কায় তাদের সমস্ত ম্যাচ খেলেছিল। ভারত সরকার কিন্তু সেই সময়েও পাকিস্তানে দল পাঠানোর বিষয়ে রাজি হয়নি।
পিসিবি ইতিমধ্যেই আইসিসির কাছে তাদের খসড়া সময় সূচি জমা দিয়েছে, যেখানে সম্ভাব্য সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল সহ ভারতের সমস্ত খেলা লাহোরে নির্ধারিত হয়েছে। ভারত বনাম পাকিস্তান মার্কি ম্যাচটি ১ মার্চ নির্ধারিত হয়েছে।
টুর্নামেন্টটি ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে শুরু হবে এবং ৯ মার্চ লাহোরে টুর্নামেন্টের ফাইনালের দিন খসড়া সূচিতে নির্ধারিত হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার ক্ষেত্রে ফাইনালের একটি রিজার্ভ ডে থাকবে। সেটা অবশ্যই ১০ মার্চ। রাওয়ালপিন্ডিতেও কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
যদি বিসিসিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই মুহুর্তে পাকিস্তানে ভ্রমণের কোনও সুযোগ নেই এবং আইসিসি কোনও জরুরি পরিকল্পনার জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করেছে। সেই সূত্রের দাবি অনুযায়ী, ‘পরবর্তীতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, পাকিস্তানের বাইরে কিছু ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হলে আইসিসি ম্যানেজমেন্ট অতিরিক্ত খরচের সুপারিশ করেছে।’