প্রায় তিন দশক পর কোনও আইসিসি ইভেন্টের আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই ইভেন্টেই সবচেয়ে হতাশার পারফরম্যান্স করেছেন মহম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজমরা। প্রথম দুই ম্যাচে হার। তার পর গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। যার নিটফল, কোনও জয় ছাড়াই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। শেষ করেছে গ্রুপ লিগের লাস্টবয় হয়ে।
আরও পড়ুন: মান-সম্মান বাঁচাল বৃষ্টি! সব ম্যাচে হেরে Champions Trophy শেষ করতে হল না বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে তোলপাড় চলছে। পাকিস্তান দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে পরাজিত হয়েছিল এবং তার পরে টিম ইন্ডিয়ার কাছেও ৬ উইকেটে হেরে যায় তারা। আর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। যার ফলে তারা এক পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশের মতোই। তবে রানরেটে পিছিয়ে থাকার জন্য গ্রুপের লাস্টবয় হয়েছে বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানরা।
পাকিস্তান এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জয়হীন ভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শেষ করল। এর আগে তারা ২০১৩ সংস্করণে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। সেবার এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেখানে তিনটি ম্যাচেই তারা হেরে বসেছিল। শূন্য পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্টকে বিদায় জানিয়েছিল। ২০০২ সালে এই টুর্নামেন্টের নতুন নামকরণ হয় ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’। আর তার পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে পাকিস্তানই প্রথম টিম, যারা আয়োজক হওয়া সত্ত্বেও কোনও জয় ছাড়াই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল। ২০০২ সালের পর থেকে আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হিসাবে কোনও দেশেরই এমন করুণ দশা হয়নি যে, একটি ম্যাচেও জয় না পেয়ে, তারা ছিটকে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- চেনা ছন্দে নেটে অনুশীলন শুরু, কবে ২২ গজে ফিরতে চলেছেন বুমরাহ? মিলল ইঙ্গিত
সামগ্রিক ভাবে, ২০০০ সালে আয়োজক দেশ হিসাবে কেনিয়া কোনও জয় ছাড়াই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেদিক থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে পাকিস্তান দ্বিতীয় আয়োজক দল, যারা একটিও জয় ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেল। এদিকে ২০০৯ সালে আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার পর, দ্বিতীয় আয়োজক দেশ হিসাবে গ্রুপের লাস্টবয় হল পাকিস্তান।
এত সব ঘটনার পরেও পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদ নিজের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া করার বদলে, ভারতের দুবাইয়ের একই মাঠে ম্যাচ খেলা নিয়ে যেন বেশিই মাথা ঘামাচ্ছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘টিম ইন্ডিয়া অবশ্যই দুবাইয়ের একই মাঠে তাদের সমস্ত ম্যাচ খেলার সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু আমরা ভারতের কাছে এই কারণে হারিনি, ভারতের তুলনায় আমাদের দল অনেক বেশি অনভিজ্ঞ, সেই কারণেই হেরেছি।’