অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ আয়োজন নিয়ে সমাধান সূত্র বের করতে পারল আইসিসি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর চুড়ান্ত হয়ে গেলে যে হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হবে এই টুর্নামেন্ট। এই ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পাশাপাশি দুবাইকে আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারত তাদের ম্যাচগুলি সেখানেই খেলবে। এছাড়াও সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচগুলিও সেখানেই আয়োজিত হবে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের দেওয়া শর্ত মেনে নেওয়া হয়েছে ভারতের তরফেও। পিসিবির তরফে দাবি রাখা হয়েছিল ভারতে আয়োজিত আইসিসি ইভেন্টের ক্ষেত্রেও হাইব্রিড মডেলের ব্যবহার করতে হবে। সেই মতো ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারতে আয়োজিত সব আইসিসি ইভেন্টের ক্ষেত্রেই হাইব্রিড মডেল ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ আসন্ন মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপ এবং পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভারত সফরে আসবে না। তাদের খেলাগুলি অন্য কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজিত হবে। যদিও পাকিস্তানের তরফে ২০৩১ সাল পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছিল।
PTI সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিষয়টি আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান জয় শাহের নেতৃত্বে যে বৈঠক হয়েছে সেখানেই চূড়ান্ত হয়েছে। আইসিসির এক সূত্র জানিয়েছে, ‘আইসিসির সব সদস্যরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ হাইব্রিড মডেলে করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছিয়েছে। পাকিস্তানের পাশাপাশি দুবাইয়েও খেলা আয়োজিত হবে এবং ভারত তাদের ম্যাচগুলি সেখানেই খেলবে। এই সিদ্ধান্তটি সব পক্ষের কাছেই জয়ের সামিল।’
গত সপ্তাহেই পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে যদি প্রতিযোগিতা তাদের দেশে আয়োজিত না হয় তবে তারা টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করবে। পাল্টা আইসিসির তরফেও টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এরপর বহু আলাপ আলোচনার পর বরফ গলে। হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে রাজি হয় পিসিবি। তবে দেওয়া হয় বেশ কিছু শর্ত। আইসিসির সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, ‘২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে পাকিস্তান তাদের ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কায় খেলবে। তবে তাদের তরফে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যেই ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
অন্যদিকে ৯০ দিন আগে আইসিসি তাদের প্রতিযোগিতার ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে সেই ডেডলাইন পেরিয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে জটিলতার কারণে ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে এবার খুব দ্রুতই তা প্রকাশ করা হবে। কারণ ব্রডকাস্টারদের তরফেও এনিয়ে চাপ দেওয়া হয়েছিল।