চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপর্যয়ের পর বাবর আজমদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। এবারের টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। তারা আবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও বটে। যে কারণে মহম্মদ রিজওয়ানদের উপর পাক ক্রিকেট ভক্তদের প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিল। তবে পাকিস্তান হতাশাজনক পারফরম্যান্স করে গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে গিয়েছে।
আর পাকিস্তানের অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্সের পর প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার মহম্মদ আমির, যিনি ২০১৭ সালের শিরোপা জয়ী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলের অংশ ছিলেন এবং ফাইনালে ভারতকে পরাজিত করেছিলেন, তিনি সোজাসাপ্টা মহম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্ব নিয়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন। আমির স্পষ্টভাষী ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত, তিনি কড়া ভাষায় বাবর আজমের সঙ্গে রিজওয়ানের তুলনা করেছেন। বলেছেন, রিজওয়ান রিক্সা আর বাবর ফেরারি।
আরও পড়ুন: চেজের সময় সর্বোচ্চ শতরান, সপ্তম ভারতীয় হিসেবে ৩০০ ODI বিরাটের, রইল আরও রেকর্ড
মহম্মদ রিজওয়ানকে ধুইয়ে দিলেন পাক প্রাক্তনী
স্পোর্টস টকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমির দাবি করেছেন, ‘রিজওয়ান (হেসে)… আপনি ফেরারি থেকে এখন রিক্সায় এসেছেন (আবার হেসে)। কিছু সময়ে, আমি ওকে পছন্দ করেছি, কারণ ও ঘরোয়া ক্রিকেটে এবং পিএসএলেও অধিনায়কত্ব করেছে, সেখানে ও সফলও হয়েছিল এবং ওর দল ফাইনালে খেলে। কিন্তু তার ২-৪ মাস পর হঠাৎ যদি দেখা যায়, হঠাৎ ওর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে শুরু করে। আমি জানি না কেন বা কী হয়েছিল, কারণ আমি ওর সাথে ২-৪ মাসও ড্রেসিংরুম শেয়ার করিনি। কেন তিনি এভাবে আচরণ করছে, ওর সিদ্ধান্তগুলি অদ্ভূত লাগছিল।’
আরও পড়ুন: চেনা ছন্দে নেটে অনুশীলন শুরু, কবে ২২ গজে ফিরতে চলেছেন বুমরাহ? মিলল ইঙ্গিত
আমির আরও যোগ করেছেন, ‘শুরুতে ও একজন সাহসী অধিনায়ক ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ও দলে কিছু পরিবর্তন করবে। কিন্তু তার পর হঠাৎ করেই ২-৪ মাসের মধ্যে মনে হতে থাকে, ও ক্রিকেট জ্ঞান থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে। সবাই মনে করে, আহমেদ (শেহজাদ) ভিডিয়ো করেছে, আমি মিডিয়াকে ইন্টারভিউ দিয়েছি, এমন কী ওয়াসিম (আক্রম) ভাইও বলেছেন, এই স্কোয়াড ভালো নয়, সত্যিকারের ওপেনার নেই, স্পিনার যোগ করা উচিত। ক্যাপ্টেন যদি বলে ওর কোনও ক্ষমতা নেই, সেটা মিথ্যে কথা, ওর ক্ষমতা আছে। রিজওয়ানকে যে ভাবে অধিনায়ক নিয়োগ করা হয়েছিল, ও এই সিদ্ধান্তগুলি নিতে পারত কিন্তু ও তা করেননি, কেন আমি জানি না।’
ফখরের পরিবর্তে ইমাম-উল-হককে দেল নেওয়ার সমালোচনা আমিরের
ফখর জামান চোট পেয়ে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার পর পাকিস্তানের ইমাম-উল-হককে ডাকার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ফখর জামানের চোট হলে, পাকিস্তান টিম একটা ছোট সুযোগ পেয়েছিল, ওরা একটা অতিরিক্ত স্পিনার যোগ করতে পারত। ওদের হাতে সুযোগ ছিল। উসমান ওদের ওপেনিং ব্যাটার ছিল। ইমাম-উল-হকের প্রয়োজনই ছিল না। অতিরিক্ত স্পিনার পেতে পারত পাকিস্তান, কিন্তু পায়নি। ওদের সাহসী হওয়া উচিত ছিল এবং এই ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’