আধুনিক ক্রিকেটে কার্যত বাউন্ডারি লাইন থেকে সরাসরি থ্রোয়ে রান-আউট করার ছবি দেখতে পাওয়া এমন কিছু বিরল নয়। দুর্দান্ত সব ফিল্ডিংয়ের নমুনা দেখেই বোঝা যায় যে, ক্রিকেটের মান কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। তবে খেলাটা যে মানসিক এবং মাথা ঠান্ডা রাখা কতটা জরুরি, সেটা বহুবার প্রমাণ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
সম্প্রতি ইউরোপীয়ান ক্রিকেটে এমনই একটি ফিল্ডিংয়ের ঘটনা চোখে পড়ে, যা ধোনির ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে মনে করিয়ে দেয় ফের। মেল্টল শিল্ডের ম্যাচে ব্রিটিশ অ্যান্ড আইরিশ রোজেসের ক্রিকেটার ক্লোই গ্রিচান চাপের মুখেও হঠকারিতা না করে ঠান্ডা মাথায় রান-আউট করেন টিম ইউরোপের ওপেনার রবিন রিজকেকে।
শনিবার রোমা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সম্মুখসমরে নামে ব্রিটিশ অ্যান্ড আইরিশ রোজেস ও টিম ইউরোপ উইমেন্স। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে টিম ইউরোপ। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৯৮ রান সংগ্রহ করে। ওপেন করতে নেমে অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন রবিন রিজকে।
প্রথম ইনিংসের ৬.৬ ওভারে গ্রিচানের বলে ডিফেন্স করেই সিঙ্গল নেওয়ার চেষ্টা করেন রিজকে। উদ্দেশ্য ছিল প্রান্ত বদল করে পরের ওভারে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখা। বোলার গ্রিচান নিজের বাঁদিকে দৌড়ে বল হাতে তুলে নেন। তিনি মোটেও দৌড়ে স্টাম্পের কাছে ফিরে রান-আউট করার চেষ্টা করেননি। অথবা তাড়াহুড়োয় বল ছুঁড়ে স্টাম্প ভাঙার চেষ্টাও করেননি তিনি। বদলে ধীরে সুস্থে আন্ডার আর্ম থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন গ্রিচান।
ফলে ব্যক্তিগত ৫৫ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিজকেকে। ২৪ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। গ্রিচান ১ ওভার বল করে ১৭ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ব্রিটিশ অ্যান্ড আইরিশ রোজেস ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় তুলে নেয়। তারা ১০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। ৩৩ বলে ৪৩ রান করে নট-আউট থাকেন রিয়া ফ্যাকরেল। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৪ বলে ৪২ রান করেন মিলি টেলর। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
টিম ইউরোপের হয়ে ২টি উইকেটই নেন দিলাইশা নানায়াকারা। ম্যাচ জেতানো ইনিংসের সুবাদে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতেন ব্রিটিশ অ্যান্ড আইরিশ রোজেসের ওপেনার রিয়া।