কয়েকদিন ধরেই কথা চলছে টেস্ট ক্রিকেটে দুটি টায়ার সিস্টেম চালুর। যেখানে প্রথম গ্রুপে খেলবে টেস্টের শক্তিশালী দলগুলো, আর নিচের গ্রুপে খেলবে তুলনামুলক দুর্বল দলগুলো। এগুলো যদিও টেস্টের পয়েন্ট, রেটিংয়ের ওপর নির্ভর করেই হবে। যদিও বিষয়টি খুব একটাও মনে ধরছে না দুবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
বিগ থ্রিকে নিয়ে চিন্তিত লয়েড-
প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের মতে, টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতির কথা ভাবতে হবে, যাতে সব দলের উন্নতি হয়। পিছিয়ে থাকা দলগুলোকে সাইড করে যদি আলাদা গ্রুপ করে দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের খেলারই কোনও উন্নতি হবে না। ফলে বিগ থ্রি অর্থাৎ ইংল্যান্ড, ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে যে গ্রুপ হওয়ার বিষয়টা, খুব একটা মনে ধরছে না লয়েডের।
পিছিয়ে থাকা দলের উন্নতি দরকার
তার মতে এই ধরণের সিস্টেম চালু হলে আখেরে তা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের ক্ষতি, যারা একটা সময় বিশ্ব শাসন করে বেরিয়েছে। ৮০ বছর বয়সী এই তারকা জানাচ্ছেন, ‘ আমার মনে হয় এটা খুব বাজে একটা আইডিয়া সেই সব দেশের জন্য, যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তাদের এখন যদি নিজেদের মধ্যে লোয়ার ডিভিশনে খেলতে হয়, তাহলে তাঁদের খেলা উন্নতি হবে কীভাবে? ওপরের দিকে উঠতে গেলে, ওপরের সারির দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে’।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
আইসিসি এখনও টু টায়ার সিস্টেম নিয়ে কিছু বলেনি-
আইসিসির অবশ্য এখনও এই টু টায়ার প্রস্তাব নিয়ে কিছুই বলেনি। তবে সাম্প্রতিক সময় টি২০ লিগের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে টেস্ট ক্রিকেট সত্যিই ধুঁকছে। যার ফলে দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটকে আকর্ষণীয় করে তোলার চ্যালেঞ্জ রয়েছে তাঁদের সামনে। কদিন আগেই ভারত - অস্ট্রেলিয়ার খেলা হওয়ায়, সেই সিরিজে ব্যাপক দর্শক সংখ্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ বড় দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে খেললে, বরাবরই দর্শকদের আকর্ষণ কাড়ে।
আরও পড়ুন- BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
শাস্ত্রী দাবি করেছিলেন দুটি টেস্ট গ্রুপের-
কদিন আগে ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও বলেছিলেন, যখন বিশ্বের সেরা দুই বা তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে তখন লড়াই জমজমাট হয়। আর ক্রিকেটভক্তরা সব সময়ই চায় ভালো লড়াই দেখতে। যদিও লয়েড মনে করছেন যদি দ্বিতীয় সারির গ্রুপে খেলতে গিয়ে আর্থিক লাভের পরিমাণ কমে যায় তাহলে সব কটি দ্বীপরাষ্ট্রকে একসঙ্গে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা চালিয়ে যেতে সমস্যা হবে।
আরও পড়ুন- ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
লয়েড বলছেন, ‘আমাদের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে খেলতে হয়। আমরা বছরের পর বছর ধরেই তা করে আসছি। আমরা অনেক দেশের কাছেই দুধেল গরু(অর্থাৎ উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা অন্য দেশের ব্যবসায়ে উন্নতি করে খেলতে গিয়ে)। সেটা মানুষকে বুঝতে হবে। কিন্তু এখন আমরা এমন পরিস্থিতিতে রয়েছে যখন একটু সাহায্য দরকার, আর আশা করছি সেটা পাব ’।