এমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দেখা দেয় জোর বিতর্ক। যার জেরে ম্যাচ রেফারিকে নেমে আসতে হয় বাউন্ডারি লাইনে। দু'দলের সাপোর্ট স্টাফদের কার্যত তর্কাতর্কির অবসান ঘটাতে আসরে নামতে হয় ম্যাচ অফিসিয়ালদের।
শুক্রবার ওমান অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে চলতি এমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সম্মুখসমরে নামে ভারতীয়-এ দল ও আফগানিস্তান-এ দল। এই ম্যাচেই আফগানিস্তানের ওপেনার জুবাইদ আকবরির আউট নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক।
আসলে আকবরি আউট ছিলেন। তবে তাঁকে নট-আউট ঘোষণা করেন ফিল্ড আম্পায়ার। যেহেতু ডিআরএস উপলব্ধ নয় টুর্নামেন্টে, তাই ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর উপায় নেই। অথচ ভারতীয় ক্রিকেটারদের জোরাজুরিতে ফিল্ড আম্পায়াররা নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। থার্ড আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে আকবরিকে আউট ঘোষণা করেন।
আফগানিস্তান টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে। তারা ওপেনিং জুটিতে ১৪ ওভারে ১৩৭ রান তুলে ফেলে। ১৪.১ ওভারে আকিব খানের বল আকবরির ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপারের কাছে যায়। কিপার প্রভসিমরন সিং শরীর ছুঁড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন। যদিও ফিল্ড আম্পায়ার এক্ষেত্রে আফগান ওপেনারকে নট-আউট ঘোষণা করেন।
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন। যার ফলে দুই আম্পায়ার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তৃতীয় আম্পায়ার শেষমেশ ছবিটা স্পষ্ট করে দেন।
এক্ষেত্রে আফগান শিবিরের দাবি ছিল এই যে, যেহেতু ডিআরএস নেই, তাই ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হওয়া উচিত। প্রতিপক্ষ দলের চাপে পড়ে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়া অনৈতিক। সেই কারণেই আফগান ডাগ-আউট থেকে ব্যাটারকে মাঠ ছাড়তে বারণ করা হয়। শেষমেশ আম্পায়াররা ও ভারত অধিনায়ক তিলক বর্মা মাঠ ছাড়তে বললে ডাগ-আউটে ফেরেন আকবরি।
যদিও ম্যাচে আফগানিস্তান-এ দলের কাছে হারতে হয় ভারতীয়-এ দলকে। শুরুতে ব্যাট করে আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। জুবাইদ আকবরি ৬৪, সেদিকউল্লাহ অটল ৮৩ ও করিম জানাত ৪১ রান করেন। ভারতের হয়ে ৩টি উইকেট নেন রসিখ সালাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয়-এ দল ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রানে আটকে যায়। ২০ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে আফগানিস্তান। ভারতের হয়ে রমনদীপ সিং ৬৪, আয়ুষ বাদোনি ৩১ ও নিশান্ত সিন্ধু ২৩ রান করেন।