চলতি মেজর লিগ ক্রিকেটে করুণ অবস্থা গতবারের চ্যাম্পিয়ন এমআই নিউ ইয়র্কের। কায়রন পোলার্ডের নেতৃত্বাধীন এমআই ৬ ম্যাচে মাঠে নেমে মোটে একটি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে। তারা পরাজিত হয় ৪টি ম্যাচে। এমআই-এর একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে।
শুক্রবার ডালাসে লিগের ১৬তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে এমআই নিউ ইয়র্ক ও কোরি অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বাধীন সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নস। এই ম্যাচে শেষ ওভারের থ্রিলারে সান ফ্রান্সিসকোর কাছে হেরে বসেন পোলার্ডরা। অ্যান্ডারসনদের প্লে-অফে তুলে দিয়ে এমআই নিজেদের কোণঠাসা করে আরও।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সান ফ্রান্সিসকো। ক্যাপ্টেন অ্যান্ডারসনের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে। অ্যান্ডারসন ৩৭ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩৫ বলে ৪৪ রান করেন হাসান খান। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
শেরফান রাদারফোর্ড ১৪ ও প্যাট কামিন্স ১৩ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন। বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। এমআই নিউ ইয়র্কের হয়ে ৪ ওভারে মোটে ১৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন কেনজিগে। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। রশিদ খান ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন। ১টি উইকেট নেন শেফার্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এমআই নিউ ইয়র্ক একসময় ১৮ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ২৫ রান দরকার ছিল তাদের। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে এমআইকে ব্যাটফুটে ঠেলে দেন প্যাট কামিন্স। তিনি সেই ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করেন।
জিততে শেষ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিল এমআইয়ের। হ্যারিস রউফের বলে ২টি ছক্কা মারেন রিচার্ডস। ৫ বলে ওঠে ১৬ রান। শেষ বলে ৪ মারলেই ম্যাচ জিতত নিউ ইয়র্ক। তবে শেষ বলে আউট হয়ে বসেন রিচার্ডস। এমআই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৫ রানে আটকে যায়। ৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করে সান ফ্রান্সিসকো। ৫ ম্যাচে তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৭ পয়েন্ট। এমআই ৬ ম্যাচে মোটে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।
দল হারায় ব্যর্থ হয় এমআইয়ের ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩০ বলে ২৬ রান করেন নিকোলাস পুরান। পোলার্ড ৪, রশিদ ১৪ ও রিচার্ডস ২৪ রান করেন।
সান ফ্রান্সিসকোর হয়ে ম্যাথিউ শর্ট ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। কামিন্স উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মোটে ২৭ রান খরচ করেন। ম্যাচের সেরা হন অ্যান্ডারসন।