২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষে ঋষভ পন্ত যে ভয়ঙ্করতম গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন, সেই আতঙ্ক থেকে এখনও বের হতে পারেননি তিনি। পন্ত ইতিমধ্যে ২২ গজে ফিরেছেন। পারফরম্যান্স করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গাও পেয়েছেন। কিন্তু সেদিনের সেই আতঙ্ক এবং পরবর্তী যন্ত্রণার কথা তিনি ভুলতে পারেন না।
সম্প্রতি ভারতীয় দলের তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানের নতুন শো ‘ধাওয়ান কারেঙ্গে’-এতে অংশ নিয়েছেন। সেখানা তিনি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে, গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনা এবং পরবর্তীতে যে অসহ্য যন্ত্রণা তাঁকে ভোগ করতে হয়েছিল, সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন।
আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের পর রোহিতদের কোচ হিসেবে গম্ভীরকেই চূড়ান্ত করতে চলেছে BCCI- রিপোর্ট
সেই ভয়ানক গাড়ি দুর্ঘটনার পর পন্তের একাধিক ফ্র্যাকচার হয়েছিল। এবং লিগামেন্টের জন্য হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। এই আঘাতগুলি তাঁর কেরিয়ারের জন্যও বিপর্যয়কর ছিল, কিন্তু তিনি ১৫ মাস পরে ফেরে প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন। এবং সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে প্রত্যাবর্তন করে নজর কাড়েন। যার জেরে পন্ত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দলেও জায়গা করে নেন।
ঋষভ পন্তের আতঙ্ক
চোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ঋষভ পন্ত দাবি করেন, ‘আত্মনির্ভরতা এবং আত্মবিশ্বাস চোট থেকে সেরে উঠতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ তখন আমার চারপাশে লোকেরা নানা ধরনের কথা বলছিলেন। তবে নিজেকেই তখন ভাবতে হত, কীসে ভালো হবে, আর কীসে নয়। গাড়ি দুর্ঘটনাটি আমার জন্য একটি জীবন বদলে দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। আমি যখন চোখ খুলি, ভাবতে পারিনি যে, আমি বাঁচতে পারব। কিন্তু ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি দুই মাস দাঁতও ব্রাশ করিনি। আমি প্রায় ছয় থেকে সাত মাস অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছি। আমি বিমানবন্দরে যেতে চাইনি, কারণ হুইলচেয়ারে বসে মানুষের মুখোমুখি হতে দ্বিধা বোধ করছিলাম। এখন যেহেতু আমি ক্রিকেটে ফিরেছি, আমি চাপের চেয়ে বেশি উত্তেজনা অনুভব করছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটা আমার দ্বিতীয় জীবন। আমি যেমন উত্তেজিত, তেমনই একটু নার্ভাসও।’
আরও পড়ুন: ছেলেরা পাগল হচ্ছে.... হঠাৎ নাইট কোচের কথা থামিয়ে কী বললেন গম্ভীর- ভিডিয়ো
আইপিএল ২০২৪-এ পন্তের পারফরম্যান্স
ঋষভ পন্ত ২০২৪ আইপিএলের হাত ধরে ১৫ মাস পরে ২২ গজে প্রত্যাবর্তন করেন। এবং দিল্লি ক্যাপিটালসকে তিনি নেতৃত্বও দেন। পন্ত ১৩ ম্যাচে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৪৪৬ রান করেন। পন্তের গড় ছিল ৪০.৫৫। আর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৫.৪০। তাঁর সেরা স্কোর ছিল অপরাজিত ৮৮ রান। যদিও পন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্লে অফে নিয়ে যেতে পারেননি, তবে তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে খুব খুশি হয়েছিলেন ভক্তরা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পন্তের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স আশা করছেন সকলেই।