গত ২৭ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার পুণের গারওয়ারে স্টেডিয়ামে লাকি বিল্ডার্স অ্যান্ড ইয়ং ইলেভেন ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩৫ বছর বয়সী এক ক্রিকেটার। ম্যাচটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচাতির হচ্ছিল। ফলে গোটা ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
অল-রাউন্ড দক্ষতার জন্য পরিচিত পেশাদার ক্রিকেটার ইমরান প্যাটেল লাকি বিল্ডার্সের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে নামেন। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মারার পর বুকের বাঁ পাশে ব্যথা অনুভব করেন ইমরান। গ্লাভস হাতে নিয়ে বুকে ঘষতে ঘষতে মাঠে বসে পড়েন তিনি।
এরপর ডানহাতি এই ব্যাটার আম্পায়ারদের জানান অস্বস্তির বিষয়টি। প্রতিপক্ষের কয়েকজন ফিল্ডারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন ইমরান, কিন্তু ব্যথা ছিল অনেক বেশি।
আম্পায়াররা ইমরানকে প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন, যা তিনি পালন করেছে। ততক্ষণে ইমরান বুকের বাম পাশে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। পেশিতে চোট লেগেছে ভেবে বাঁ হাত নাড়তেও দেখা যায় তাঁকে।
কিছুক্ষণ পরে শেষমেশ ইমরান মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু মাঠে ফেরার সময় তিনি পড়ে যান। প্রতিপক্ষ দলের সব ফিল্ডাররা তাঁর দিকে ছুটে যান। ইমরানকে উদ্ধার করে তড়িঘ়ড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মেডিক্যাল হিস্ট্রি নেই
আরেক ক্রিকেটার নাসির খান বলেন, ‘এর আগে কখনও ওর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। ওর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। ও দারুণ একজন অলরাউন্ডার ছিল। ক্রিকেট খেলতে প্রচণ্ড ভালবাসত। আমরা সবাই এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’
মৃত্যুকালে ইমরান স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে গিয়েছেন। তাঁর সন্তানদের মধ্যে সবার ছোটটির বয়স মাত্র চার মাস। বুধবার গভীর রাতে মৌলানা আজাদ কলেজের কাছে তাঁর শেষকৃত্যের জন্য বিশাল জনতা উপস্থিত হয়।
ইমরান একটি ক্রিকেট দলের মালিক ছিলেন। রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করতেন এবং একটি জুসের দোকানও চালাতেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর পুণেতে ম্যাচ খেলতে গিয়ে মারা যাওয়া ক্রিকেটার হাবিব শেখের মৃত্যুর স্মৃতি ফিরে আগে ইমরানের প্রয়াণে। হাবিব ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন।