সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় নজর কাড়লেন চেন্নাই সুপার কিংসে সদ্য যোগ দেওয়া স্পিনার শ্রেয়স গোপাল। ভারতীয় এই স্পিনারকে সদ্য সৌদি আরবের জেদ্দাহতে দলে নেওয়া হয় চেন্নাই সুপার কিংসের। এবাই নিজের রাজ্য সংস্থার দলের হয়েই হ্যাটট্রিক করে নজর কাড়লেন সিএসকের এই ডানহাতি স্পিনার। তিনি ব্যাট হাতেও যথেষ্ট সাবলীল।
বরোদার বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাল আলি ট্রফির ম্যাচে কর্ণাটকের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন শ্রেয়স গোপাল। তিনি দুরন্ত বোলিং করলেও অবশ্য তাতে তাঁর দলের খুব একটা লাভ হয়নি। কারণ তাঁর দল শেষ পর্যন্ত ম্যাচে হেরে যায়। তবে শ্রেয়স গোপাল মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন বরোদার চার চারটি উইকেট। সিএসকে তাঁকে নিয়ে যে কোনও ভুল করেনি, সেটাই প্রমাণ করেন তিনি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে কর্ণাটক। যা তাড়া করতে নেমে বেশি চাপের মধ্যে শুরুতে পড়েনি বরোদা দল। কারণ প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই তাঁরা পৌঁছে যায় ১ উইকেটে ১০২ রানে। কিন্তু এরপরই ম্যাজিকাল স্পেল করে বসেন শ্রেয়স গোপাল, আর তাতেই কার্যত চাপ বেড়ে যায় বরোদার ওপর। তিনি ১১তম ওভারের প্রথম বলেই আউট করেন ওপেনার শাশ্বত রাওয়াতকে।
এরপর পান্ডিয়া ব্রাদার্সদের আউট করেন শ্রেয়স গোপাল। বিসিসিআইয়ের নির্দেশের পর হার্দিক পান্ডিয়া থেকে শুরু করে সমস্ত প্রথম শ্রেণীর তারকারাই খেলছেন সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায়। সেখানেই হার্দিক পান্ডিয়া এবং ক্রুণাল পান্ডিয়াকে পরপর বলে আউট করেন শ্রেয়স গোপাল। এরপর ভানু পুনিয়াকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার।
যদিও শেষ পর্যন্ত বিষ্ণু সোলাঙ্কির ব্যাটিংয়ের কাছে হার মানতে হয় কর্ণাটককে। তিনি ২৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বরোদাকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে চলে যান। শেষ পর্যন্ত ৭ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বরোদা। বিফলে যায় শ্রেয়সের অনবদ্য বোলিং। যদিও তাঁর বোলিং দেখে মহেন্দ্র সিং ধোনির সিএসকের স্কাউটাররা বেশ ভালোই স্বস্তিতে থাকবেন।
আইপিএলের নিলামে অবশ্য খুব বেশি দাম পাননি শ্রেয়স গোপাল। সেয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ১০ উইকেট নেওয়া এই স্পিনারকে বেস প্রাইস ৩০ লক্ষ টাকায় দলে তুলে নেয় সিএসকে। গতবার কেরলের হয়ে খেললেও এবারে নিজের ঘরের রাজ্য কর্ণাটকের হয়েই ফিরেছেন গোপাল। আইপিএলের ৪৯টি ম্যাচে ৪৯টি উইকেট রয়েছে তাঁর। এর আগে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়েও খেলেছেন।
রাজস্থানের হয়ে আরসিবির বিরুদ্ধে তিনি ২০১৯ সালেও হ্যাটট্রিক নিয়েছিলেন আইপিএলে। সেবার আউট করেছিলেন বিরাট কোহলি, এবিডিভিলিয়ার্স এবং মার্কাস স্টইনিসকে। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেট বা আইপিএলে হ্যাটট্রিক নেওয়া কর্ণাটকের এই বোলারের কাছে নতুন কোনও ব্যাপার নয়, তা বোঝা গেল।