অ্যাডিলেডে খেলার মাঝে মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। দেখে মনে হচ্ছিল তিনি গুরুতর চোট পেয়েছেন। তবে পরে জানা যায় শুধুমাত্র টান ধরেছিল তাঁর। তবে এখনই এতো নিশ্চিন্ত হতে পাচ্ছেন না প্রাক্তন অজি পেসার ড্যামিয়েন ফ্লেমিং। তিনি মনে করছেন এটা শুধু ক্র্যাম্প নয়, বরং আরও বড় কিছু। ফ্লেমিং বলেন, ‘আমি এটা মানতে পারছি না যে এটা শুধুমাত্র ক্র্যাম্প। তাকে প্রথম ইনিংসের বিরতির সময় যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে দেখাচ্ছিল। তারপরেও সে দ্বিতীয় ইনিংসে আবার বল করে, গতি কমে গিয়েছিল তার। আমি জানি না কেন ওকে দিয়ে বল করানো হল। আসলে আমার মনে হচ্ছে কিছু আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বোলিং করতে গিয়ে জসপ্রীত বুমরাহ মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন চোট পেয়েছিলেন, যা দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল গোটা ভারতীয় শিবিরও। দ্রুত মাঠে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তিনি বল করেন এবং উইকেটও পান। কিন্তু বেশ কিছুটা বলের গতি কমে গিয়েছিল বুমরাহের। ১৩০কিমি গতিবেগে বল করছিলেন তিনি। যদিও ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল জানিয়ে ছিলেন বিষয়টি নিয়ে তেমন চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা মনে হচ্ছে না। তাঁকে ম্যাচের পরে অনুশীলনেও দেখা যায়নি এখনও। দ্বিতীয় ইনিংসে খুব বেশি বল করতে হয়নি ভারতকে। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৮ রান। যা ৩.২ ওভারে তুলে নেয় তারা। ফলে বুমরাহকেও খুব বেশি বল হাতে দেখা যায়নি।
ফ্লেমিং এরকম পরিস্থিতিতে বুমরাহকে দিয়ে কেন বল করানো হল সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি মনে করছেন এর ফলে সমস্যা আরও বাড়বে ভারতীয় পেসারের। তিনি বলেন, ‘সিরাজ চাপ নিতে পারত, তবে বুমরাহকে দিয়ে বল করানো হল দেখে আমি অবাক। তারা এটা না করতেই পারত।’ টেস্ট ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বুমরাহের ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রোহিত স্বীকার করে নেন বুমরাহের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বুমরাহকে ফ্রেশ দেখতে চাই এবং ৫টি টেস্টেই খেলাতে চাই। তাই বোলারদের ম্যানেজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ অ্যাডিলেড টেস্ট সময়ের আগে শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্রিসবেন টেস্টের জন্য হাতে বেশি সময় পাওয়া গেছে, আশা করা হচ্ছে তার মধ্যে সেরে উঠবেন বুমরাহ।