বড় বিতর্কের হাত থেকে রেহাই পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও সমালোচনা একেবারে এড়ানো গেল না মোটেও। একসময় মনে হচ্ছিল ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় বিনা যুদ্ধেই পরিত্রাণ পেয়ে যাবে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। তবে সেই সৌভাগ্যের প্রসঙ্গই মুহূর্তে বদলে যায় কায়রন পোলার্ডদের দুর্ভাগ্যে। ফলে বিতর্ককে সঙ্গে নিয়েই এবারের মতো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় নাইট রাইডার্সকে।
বুধবার গায়ানায় চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগের এলিমিনেটর ম্যাচে মাঠে নামে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ও বার্বাডোজ রয়্যালস। টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় নাইট দলনায়ক কায়রন পোলার্ডকে। নাইট রাইডার্স টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে। তবে বিপত্তি দেখা দেয় প্রথম ইনিংসের শেষ ওভারে।
নাইট রাইডার্স ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করার পরে নিভে যায় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। ম্যাচ থমকে থাকে প্রায় দু'ঘণ্টা। একসময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় যে, আর কিছুক্ষণ কেটে গেলেই ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষিত হবে এবং লিগ টেবিলে রয়্যালসের থেকে উপরে থাকার জন্য দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের যোগ্যতা অর্জন করবে নাইট রাইডার্স।
অন্ততপক্ষে ৫ ওভারের ম্যাচ শুরু করার জন্য কাট অফ টাইম যখন আসন্ন প্রায়, ফ্লাডলাইট জ্বলে ওঠে। আলো ফেরে মাঠে। ফলে নাইট রাইডার্সের ইনিংস সেখানেই শেষ করা হয় এবং ৫ ওভারের ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বার্বাডোজ। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জয়ের জন্য রয়্যালসের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬০ রানের। রয়্যালস ৪.২ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
পুরো ম্যাচ খেলা হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতেই পারত। এক্ষেত্রে ভাগ্যের হাতে মার খেতে হয় কায়রন পোলার্ডের। যদিও এমন অবাঞ্ছিত ঘটনাই সিপিএলের এলিমিনেটরকে আরও উত্তেজক করে তোলে সন্দেহ নেই।
দল হারায় ব্যর্থ হয় নিকোলাস পুরানের ৬০ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ধুন্ধুমার ইনিংস। তিনি এক্ষেত্রে শতরানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। পুরান ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। এছাড়া নাইট রাইডার্সের হয়ে সুনীল নারিন ২, জেসন রয় ২৫, কায়রন পোলার্ড ১৭ ও আন্দ্রে রাসেল অপরাজিত ২০ রান করেন। রয়্যালসের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন থিকশানা, নবীন উল হক ও সাইমন্ডস।
রয়্যালসের হয়ে ১৭ বলে ৫০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ব্যাট হাতে বার্বাডোজকে কার্যত একা জয় এনে দেন মিলার। ম্যাচের সেরা হন তিনিই।