ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ের মান অত্যন্ত উন্নত বলেই বিবেচিত হয়। তবে চলতি বিগ ব্যাশ লিগের ম্যাচে ব্রিটিশ উইকেটকিপার ও অজি বোলারের ভুল বোঝাবুঝিতে এমন একটি মিস-ফিল্ডিং হয়, যা সচরাচর পাকিস্তানের ক্রিকেটে দেখা যায়।
শনিবার চলতি বিগ ব্যাশ লিগের অষ্টম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ডেভিড ওয়ার্নারের সিডনি থান্ডার ও মইজেস হেনরিক্সের সিডনি সিক্সার্স। এই ম্যাচেই সিক্সার্সের ক্যাপ্টেন হেনরিক্সের একটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া হয় থান্ডারের উইকেটকিপার স্যাম বিলিংস ও বোলার ট্রেভর সাঙ্ঘার ভুল বোঝাবুঝিতে।
দ্বিতীয় ইনিংসের ১৫তম ওভারে ঘটে সহজ ক্যাচ মিসের ঘটনা। ১৪.১ ওভারে ট্রেভরের বলে লেগ সাইডে জোরালো শট খেলার চেষ্টা করেন হেনরিক্স। তিনি ঝুলে যাওয়া বলে পুল শট খেলার চেষ্টা করলেও বল মাঝব্যাটে কানেক্ট হয়নি। বল লাগে ব্যাটের উপরের কানায় এবং সোজা উপরের দিকে উঠে যায়।
ক্যাচ ধরার জন্য এগিয়ে যান কিপার বিলিংস ও বোলার ট্রেভর। বোলার ভাবেন কিপার ক্যাচ ধরবেন, কিপার ভাবেন ক্যাচ ধরবেন বোলার। কেউ কাউকে কল করেননি। দু'জনের মুখ চাওয়া চাওয়িতে বল এসে পড়ে দু'জনের ঠিক মাঝখানে। ফলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে জীবনদান পেয়ে যায় হেনরিক্স।
এমন ফিল্ডিং দেখে ক্ষেপে লাল হয়ে যান থান্ডার দলনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁকে দৃশ্যতই বিরক্ত দেখায়। তিনি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন যে, দস্তানা থাকায় কিপারের ক্যাচ ধরার চেষ্টা করা উচিত ছিল এক্ষেত্রে।
হেনরিক্স যদিও পড়ে পাওয়া জীবনদান কাজে লাগাতে পারেননি। তিনি ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হয়ে বসেন। তবে শেষ বলের থ্রিলারে থান্ডারকে হারিয়ে দেয় সিক্সার্স।
সিডনি থান্ডার বনাম সিডনি সিক্সার্স ম্যাচের ফলাফল
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সিডনি থান্ডার। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে। ক্যামেরন ব্যানক্রফট ৭০ রান করেন। ৪৭ রান করেন অলিভার ডেভিস। ১৭ রানে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। সিক্সার্সের আকিল হোসেন ও বেন ডার্শিস ২টি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেনে সিডনি সিক্সার্স ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। জোশ ফিলিপ ৩৫, জ্যাক এডওয়ার্ডস ২৮, জর্ডন সিল্ক ৩৬ ও বেন ডার্শিস ২০ রান করেন। ২টি উইকেট নেন থান্ডারের লকি ফার্গুসন। ম্যাচের সেরা হন ডার্শিস।