আইপিএলে দল কিনে ভারতীয় ক্রিকেটের আঙিনায় মাথা গলানোর চেষ্টা করেছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মালিকপক্ষ। যদিও শেষমেশ তা সম্ভব হয়নি। তবে এবার ব্রিটিশ ক্রীড়াক্ষেত্রে দাপুটে পদার্পণ ঘটল এক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির। যদিও ফুটবলে নয়, বরং ঐতিহ্যশালী এক কাউন্টি ক্লাবের কার্যত অর্ধেক মালিকানা চলে এল জিএমআর গ্রুপের হাতে, যারা আসলে আইপিএল দল দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকপক্ষ।
হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্লাবের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নিল জিএমআর গ্রুপ। ঐতিহাসিক এই চুক্তির জন্য় দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকপক্ষের খরচ হয় প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। দিল্লি ক্যাপিটালস ছাড়াও আমিরশাহির ইন্টারন্য়াশনাল লিগ টি-২০, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেট ও দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ-২০'র দলের মালিকানা রয়েছে এই সংস্থার হাতে। এবার কাউন্টি ক্রিকেটেও পা দিল জিএমআর গ্রুপ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কাউন্টি ক্রিকেটে এটিই প্রথম কোনও বিদেশি বিনিয়োগ। জিএমআর গ্রুপ প্রাথমিকভাবে হ্যাম্পশায়ারের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনলেও পরবর্তী সময়ে বাকি ৫১ শতাংশ মালিকানা কিনে নেওয়ারও বিকল্প খোলা রেখেছে। এই চুক্তির ফলে হ্যাম্পশায়ার বোল স্টেডিয়াম, হিল্টন হোটেল ও ক্রিকেট মাঠ সংলগ্ন ১৮ হোলের গলফ কোর্সের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে জিএমআর গ্রুপের হাতে।
অবশ্য একা জিএমআর গ্রুপ নয়, বরং কাউন্টি ক্রিকেটে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে একাধিক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি। যাদের মধ্যে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। উল্লেখ্য, রয়্যালস, নাইট রাইডার্স, এমআই ও সুপার জায়ান্টস কর্তৃপক্ষের একাধিক ক্রিকেট লিগে বিনিয়োগ রয়েছে।
নাইট রাইডার্স ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগ, ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-২০ ও মেজর লিগ ক্রিকেটে দল কিনেছে। এমআই আইএল টি-২০, মেজর লিগ ক্রিকেট ও এসএ-২০'তে দল কিনেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ লিগে দল রয়েছে সুপার জায়ান্টসের।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক স্থিতাবস্তা চাইছে। এই অবস্থায় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির পুঁজিকে হাতিয়ার করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। অদূর ভবিষ্যতে দ্য হান্ড্রেডে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সরাসরি বিনিয়োগ চোখে পড়তে পারে। তবে এক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের ফর্ম্যাট বদলের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।
এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও ভবিষ্যতে ১০০ বলের এই টুর্নামেন্টকে টি-২০ ফর্ম্যাটে বদলে দেওয়া হতে পারে। তাছাড়া হ্যাম্পশায়ার ও জিএমআরের এই চুক্তি অবিলম্বে আরও কিছু কাউন্টি ক্লাবে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এখন দেখার যে, আর কোনও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কাউন্টি ক্লাবের গাঁটছড়া চোখে পড়ে কিনা।