সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচে অনন্য নজির গড়ল দিল্লি। টি-২০ ক্রিকেটে এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এক ম্যাচে বল করলেন ১১ জন ক্রিকেটার! এমনকী বল করতে দেখা গেল উইকেটকিপারকেও। শুক্রবার এক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মণিপুর এবং দিল্লি। এখানেই এই ঘটনাটি ঘটল। এদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মণিপুর। বল করতে নেমে বেনজির কাণ্ড ঘটালেন দিল্লির অধিনায়ক আয়ুষ বাদোনি। বল করালেন দলের সব ক্রিকেটারদের দিয়েই। নিজেও করেছেন ২ ওভার। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে ছিল না মণিপুরও। তারাও তাদের ৭ জন ক্রিকেটারদের দিয়ে বল করান।
ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে মণিপুরের স্কোর ছিল ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০। দিল্লির হয়ে আয়ুষ সিং ২ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, হর্ষ ত্যাগি ৩ ওভার বল করে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ৩ ওভার বল করে ২ উইকেট নেন দিগ্বেষ রাথি। ২ ওভার বল করে ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন অধিনায়ক আয়ুষ। ১ ওভার বল করে ২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন প্রিয়াংশ আর্য। এছাড়াও দিল্লির হয়ে বল করেন আরিয়ান রানা, হিম্মত সিং, যশ ধুল, অখিল চৌধুরী, মায়াঙ্ক রাওয়াত এবং উইকেটকিপার অনুজ রাওয়াত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি। ৫১ বলে ৫৯ করে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার যশ ধুল। উল্টো দিক থেকে লাগাতার উইকেট পড়তে থাকলেও একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন যশ। মণিপুরের তরফেও এদিন তাদের ৭ ক্রিকেটার বল করেন। বল হাতে শুরুটা ভালোই করেছিলেন তারা। ৪৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলে দিল্লি। শেষে মায়াঙ্ক রাওয়াত এবং আরিয়ান রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান যশ।
টি-২০ ক্রিকেটে এরকম নজির নেই। এর আগে সর্বোচ্চ ন’জন বোলার খেলানোর নজির রয়েছে। এবার দিল্লি ১১ জন ক্রিকেটারকে দিয়ে বল করিয়ে নয়া ইতিহাস তৈরি করল। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এরকম ঘটনা ঘটেছে আগে। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ভারতের টেস্ট ম্যাচে বল করেছিলেন ১১ জনই। সেই সময় ভারতের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৫-এ দক্ষিণ আফ্রিকাও এরকম একটি নজির তৈরি করেছিল। কিন্তু টি-২০ ক্রিকেটে এরকম আগে হয়নি।